Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত

নিহত স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ। ছবি : সংগৃহীত
নিহত স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ। ছবি : সংগৃহীত
Picture of বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদের (৩২) মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নৌবাহিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পর প্রশিক্ষণ বিমানটি থেকে দুই বৈমানিক জরুরি প্যারাসুট দিয়ে নদীতে অবতরণ করেন। বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে অসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য নৌবাহিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত অসিমের বাবার নাম মোহাম্মদ আমানউল্লাহ। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রামে বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক অফিসার্স আবাসিক এলাকায় থাকতেন তিনি।

একই দুর্ঘটনায় আহত কো-পাইলট উইং কমান্ডার সোহান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন।

এর আগে সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি একরাম উল্লাহ জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই প্যারাসেইলিং করে দুই পাইলট কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর স্থানীয় মাঝিমাল্লারা তাদের উদ্ধার করেন। পরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের টিম তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নৌবাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ১২টার দিকে স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদের মৃত্যু হয়।”

বিধ্বস্ত যুদ্ধ বিমানটি ২০১৫ সাল থেকে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়ার সমরাস্ত্র প্রস্তুতকারক ইরকুত করপোরেশন নির্মিত ইএকে-১৩০ যুদ্ধবিমানটি সাবসনিক দুই সিটের উন্নত জেট, এটি ওজনেও হালকা।

২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে (বাফা) যোগ দিয়েছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার অসিম, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন পান।

ইএকে-১৩০ ছাড়াও পিটি-৬, এল-৩৯জেডএ, এফ-বিজিওয়ানের মতো উড়োজাহাজ চালনাতেও দক্ষ ছিলেন অসিম। তিনি ছিলেন এফ-সেভেন এম ডি ওয়ানের অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার। এর আগে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনেও কাজ করেছেন।

মৃত্যুর সময় ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ’র স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন অসিম জাওয়াদ। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে এরই মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমানবাহিনী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত