বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে।
এতে থাকা দুই পাইলট প্যারাসেইলিংয়ের মাধ্যমে নেমে এলেও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
বিমানটি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের পাশে নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। জাহাজ চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ঘটনা ঘটলেও সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক আছে। উড়োজাহাজ চলাচলেও কোনও বিঘ্ন ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। সোশাল মিডিয়ায় আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উড়ন্ত অবস্থায় উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। এক পর্যায়ে এটি নদীতে পড়ে। তার আগে প্যারাস্যুট নিয়ে বেরিয়ে আসেন দুজন পাইলট।
আইএসপিআরের বার্তায় বলা হয়, বিমানবাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ মডেলের যুদ্ধবিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পতেঙ্গা এলাকায় সাগরে বিধ্বস্ত হয়৷ বিমানের দুজন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আইএসপিআরের পক্ষ থেকে পাইলটদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে নামার সময় যুদ্ধবিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় জরুরি অবতরণের আগে বিমানটির চাকার নিচের অংশে আগুন ধরে যায়।
“পরে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিমানটি অবতরণ করা হয়। এখন সেটি খুঁজতে ডুবুরি, ফায়ার ফাইটার, বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের নাবিকরা কাজ করছেন।”
বিমানবাহিনীর ইউনিট দুই পাইলটকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে বন্দরে কর্মরতরা জানিয়েছেন।
বঙ্গোপসাগর থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা হয়ে সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর জেটি-টার্মিনালে প্রবেশ করে। মোহনার কাছাকাছি বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) এলাকায় নদীতেই যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
তবে একারণে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এটা ছোট বিমান ছিল, ফলে জাহাজ চলাচলে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি।”
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ সকাল সন্ধ্যাকে জানান, বিমান চলাচল স্বাভাবিক আছে।