Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দার আটক

মিল্টন সমাদ্দার
মিল্টন সমাদ্দার
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

ঢাকার মিরপুরের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রমের চেয়ারম্যান আলোচিত-সমালোচিত মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ার বৃদ্ধাশ্রমটি থেকে তাকে আটক করা হয় বলে সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেছেন ডিবি কর্মকর্তা জুনায়েদ আলম।

বৃদ্ধাশ্রম চালানোর পাশাপাশি অসহায়-দুস্থদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার।

মানবসেবার আড়ালে তিনি কোনও অপকর্ম করছেন কি না- সম্প্রতি তা তদন্ত করে দেখতে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে যে অভিযোগগুলো উঠেছে মিল্টনের বিরুদ্ধে, তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেয়।

তাদের চোখে মিল্টন সমাদ্দার যেন ‘ড. জেকিল অ্যান্ড মি. হাইড’

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে বৃদ্ধাশ্রম খুলে মিল্টন নানা অপকর্ম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত মিল্টন রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে আশ্রয় দিয়ে তাদের নিয়ে ভিডিও তৈরি করে বিত্তবানদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে তা আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আশ্রিত ব্যক্তিদের অঙ্গ-প্রত্যক্ষ নিয়ে ব্যবসা, বিভিন্নজনকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার, চিকিৎসক পেটানোর অভিযোগও এসেছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। সাবেক সহকর্মীরাও মুখ খুলেছেন মিল্টনের বিরুদ্ধে।

মানবাধিকার কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে মানবসেবার অন্তরালে যে নির্মম ও বর্বরোচিত চিত্র ফুটে উঠেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। মানবসেবা পরম ধর্ম, কিন্তু মানবসেবার নামে মুখোশের আড়ালে রাস্তা থেকে অসুস্থ, অসহায় ও নিরীহ মানুষকে তুলে এনে চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির যে অভিযোগ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা অত্যন্ত ভীতিকর, ন্যক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

“গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখা, ভুয়া ডাক্তার কর্তৃক মৃত্যু সার্টিফিকেট তৈরি করা কিংবা মৃত লাশের শরীরে কাটাছেঁড়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত মর্মে কমিশন মনে করে।”

সংবাদমাধ্যমে মিল্টনকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখার পর সকাল সন্ধ্যার কাছে তার ‘প্রতারণা’র কথা বলেন সৈয়দ মনিরুল হাসান রিশাদ।

মিল্টন সমাদ্দারের ডিজিটাল টিমের স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসাবে ২০২২ সাল থেকে প্রায় এক বছর তার সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঢাকার মগবাজারের দিলু রোডে থাকা ‘ব্রেন বাস্কেট’ নামে একটি প্রডাকশন হাউজের মালিক।

মনিরুল হাসান বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তার ভিডিওগুলোর স্ক্রিপ্ট লিখতাম আমি। কিন্তু সেসব স্ক্রিপ্টে ভুল তথ্য পরিবেশন করতে বলা হতো আমাকে। যেমন বৃদ্ধাশ্রমে যত জনকে আশ্রয় দেওয়া হতো, ভিডিওগুলোতে সেই সংখ্যাগুলো অনেক বাড়িয়ে বলা হতো।

“এছাড়া সেসব ভিডিওতে উদ্ধারকৃত মানুষকে যেসব সেবা দেওয়ার কথা বলা হতো, বাস্তবে সেভাবে সেবা পান না অসহায় মানুষগুলো।”

এরপর পারিশ্রমিক নিয়ে মিল্টন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ মনিরুলের।

“আমার সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে তিনি যে চুক্তি করেছিলেন, কিছুদিন পরই সেই চুক্তি ভঙ্গ করেন তিনি। তার ওপর কোনও কারণ ছাড়াই যখন-তখন যার তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করায় তার সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় আমার। পরে আমি সেখান থেকে সরে আসি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত