প্রিমিয়ার লিগে উড়ছে আর্সেনাল। ওদিকে বুন্দেসলিগায় ভালো নেই বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্স কোনও প্রভাব ফেলল না। একযুগ পর বুন্দেসলিগার শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় থাকা বায়ার্ন মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে বরং ব্যাকফুটে ফেলে দিল ২০ বছর পর প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখা গানারদের।
চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালকে জিততে দেয়নি বায়ার্ন। এমিরেটস স্টেডিয়াম থেকে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছে জার্মান ক্লাবটি। ফলে ১৭ এপ্রিল ঘরের মাঠের ফিরতি লেগে সুবিধাজনক জায়গায় থাকল বায়ার্ন। বিপরীতে একের পর এক সুযোগ নষ্টে চ্যাম্পিয়নস লিগের পথটা কঠিন করে নিল আর্সেনাল।
এমিরেটস স্টেডিয়ামের ম্যাচ শুরু থেকেই জমজমাট। টটেনহাম ছাড়ার পর এবারই প্রথম উত্তর লন্ডনে ফিরেছিলেন হ্যারি কেইন। তার আগমন ইংলিশ সমর্থকদের জন্য ছিল বাড়তি পাওয়া। তবে দুই দলের রোমাঞ্চকর লড়াই সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। ম্যাচের শুরু থেকে যে উত্তেজনা, সেটা শেষ পর্যন্ত ছিল চলমান।
একইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্ষোভ। ম্যাচের শেষ দিকে আর্সেনাল উইঙ্গার বুকায়ো সাকাকে বায়ার্ন গোলকিপার মানুয়েল নয়ার ফেলে দিলে আর্সেনাল পেনাল্টির দাবি জানায়। দফায় দফায় রেফারির কাছে পেনাল্টির আবেদন করে। তবে রেফারি সাড়া দেননি। ড্র করে মাঠ ছাড়ার সময় রেফারির এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে স্বাগতিক খেলোয়াড়দের।
এর আগে ম্যাচের ১২তম মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল আর্সেনাল। বক্সের ভেতর থেকে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন সাকা। স্বাগতিকদের লিড অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিট ছয়েক পর বায়ার্ন সমতায় ফেরে সের্গি জিনাব্রির গোলে। কিছু সময় পর এগিয়েও যায় জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন কেইন। লন্ডনে ফেরাটা তিনি রাঙিয়ে নিয়েছেন গোল করে। বক্সের ভেতর লেরয় সানে ফাউলের শিকার হলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। স্পট কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করে এগিয়ে নেন কেইন।
এবার আর্সেনালের ম্যাচে ফেরার প্রচেষ্টা। একের পর এক আক্রমণ ও সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছিল। অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখে ৭৬ মিনিটে। উৎকণ্ঠায় থাকা এমিরেটস স্টেডিয়ামে খুশির মিষ্টি বাতাস ছড়িয়ে দেন লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। তার গোলেই সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে আর্সেনাল।