Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

বায়ার্ন-বাধা পেরোলেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেন আনচেলত্তি

রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ছবি: টুইটার
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ছবি: টুইটার
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র কোচ হিসেবে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার কীর্তি আছে কার্লো আনচেলত্তির। এবারও আছেন ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব জেতার পথে। রিয়াল মাদ্রিদকে তুলেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে। এরই মধ্যে প্রথম লেগ শেষ হয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ থেকে তার দল ফিরেছে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে। এই জার্মান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আনচেলত্তির রেকর্ড অনন্য। এখনও পর্যন্ত বায়ার্নের বিপক্ষে হারের মুখ দেখেননি তিনি।

শুধু তা-ই নয়, যে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন, এর মধ্যে তিনটির কোনও না কোনও পর্বে বায়ার্নের সঙ্গে দেখা হয়েছে তার। সাফল্যের এই হার জানান দিচ্ছে, বাভারিয়ানদের বাধা টপকে গেলেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেন ইতালিয়ান কোচ। এবার সাক্ষাৎ সেমিফাইনালে। আলিয়েঞ্জ অ্যারেনার প্রথম লেগেও অজেয় থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছেন আনচেলত্তি। ফিরতি লেগ ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হওয়ায় ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে তার দল রিয়াল।

ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের (প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি ‘আ’, বুন্দেসলিগা ও লিগ ওয়ান) শিরোপা জেতা একমাত্র কোচ আনচেলত্তি। সাফল্যের বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ তিনি। সেখানে ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষের তালিকায় বায়ার্নের নাম ওপরের দিকে থাকার কথা। এবারের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ মিলিয়ে জার্মান ক্লাবের বিপক্ষে ৯বার ডাগ আউটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেখানে হারের কোনও তিক্ততা নেই। জিতেছেন ছয় ম্যাচে, বাকি তিন ম্যাচ শেষ করেছেন ড্রতে।

২০০৬-০৭ মৌসুমে এসি মিলানকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছিলেন আনচেলত্তি। ছবি: টুইটার

এসি মিলানে কাটানো আট বছরের সময়কালে ছয়বার বায়ার্নের মুখোমুখি হয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী কোচ। এর মধ্যে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে ২০০২-০৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর পথে বাভালিয়ানদের মুখোমুখি হয়েছিলেন গ্রুপ পর্বে। ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জয়ের পর অ্যাওয়েতেও জিতেছিলেন একই ব্যবধানে।

তিন মৌসুম পর বায়ার্নকে পেয়েছিলেন শেষ ষোলোতে। সেবার সান সিরোতে ৪-১ গোলের বড় জয়ের পর মিউনিখ থেকে ফিরেছিলেন ১-১ গোলের ড্র নিয়ে। ওইবারই শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি আনচেলত্তির। সেবার সেমিফাইনালে থামতে হয়েছিল বার্সেলোনার কাছে হেরে।

২০০৬-০৭ মৌসুমে আবার তাদের সাক্ষাৎ হয়, এবার কোয়ার্টার ফাইনালে। ঘরের মাঠে ২-২ গোলের নাটকীয় ড্রয়ের পর আলিয়েঞ্জ অ্যারেনা থেকে ফিরেছিলেন ২-০ গোলের জয় নিয়ে। সেবার ইউরোপসেরা মুকুটও জিতেছিল আনচেলত্তির মিলান।

২০১৩-১৪ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর পর ট্রফি হাতে আনচেলত্তির উল্লাস। ছবি: টুইটার

বায়ার্নের সঙ্গে তার পরের সাক্ষাৎটা রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে। ২০১৩-১৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল-বায়ার্ন। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর প্রথম লেগ রিয়াল জিতেছিল (১-০) করিম বেনজেমার লক্ষ্যভেদে। আর দ্বিতীয় লেগে উড়িয়ে দিয়েছিল জার্মান জায়ান্টদের। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও সের্হিয়ো রামোসের জোড়া গোলে জিতেছিল ৪-০ ব্যবধানে। সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাও জিতেছিল আনচেলত্তির রিয়াল।

আবারও রিয়ালকে নিয়ে বায়ার্নের মুখোমুখি আনচেলত্তি। এবার দেখা হয়েছে সেমিফাইনালে। প্রথম লেগে না হেরে ঘরের মাঠে নামতে যাচ্ছেন ফিরতি লেগে। বায়ার্নের বিপক্ষে ইতালিয়ান কোচের যে পরিসংখ্যান, তাতে আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ কি যোগ হতে যাচ্ছে তার বর্ণিল ক্যারিয়ারে?

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত