ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ডং নাইতে ৩০০ হেক্টর আয়তনের একটি জলাধারে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু হয়েছে। মৎস্যজীবীরা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে সোং মে নামের জলাধারটিতে ভেসে থাকা মরা মাছ সংগ্রহ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যম এই ঘটনার জন্য খরা, তাপপ্রবাহ এবং জলাধারের ব্যবস্থাপনার সমস্যাকে দায়ী করছেন। এই ঘটনায় ভিয়েতনাম সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির বিষয়টিই স্পষ্ট হচ্ছে।
এপ্রিল মাসজুড়ে ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। এতে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। কৃষকরা তাদের ফসল বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এএফপি জানায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জলাধারটিতে প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি ছিল না।
প্রদেশের ট্রাং বম জেলার বাসিন্দা এনঘিয়া এএফপিকে বলেছেন, “মাছগুলো পানির অভাবে মারা গেছে। গত ১০ দিন মরা মাছের গন্ধ আমাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।”
এমনকি অসংখ্য বালতি ও জাল দিয়েও সমস্ত মাছ অপসারণ করা প্রায় একটি অসাধ্য কাজ বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, জলাধারটি সংস্কারের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে প্রায় ২০০ টন মাছ মারা গেছে।
ছবিতে দেখা যায়, জলাধারটি প্রায় শুকিয়ে গেছে এবং অনেক জায়গায় এর তলদেশ শুকিয়ে মাটিতে ফাটল ধরেছে। মৃত মাছগুলো অল্প পানিতে ভাসছে।
এনঘিয়া এএফপিকে বলেন, জলাধার সংস্কারের প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে কাদা অপসারণ করে মাছেদের চলাচলের জন্য আরও জায়গা তৈরি করা।
জলাধারটি থেকে ট্রাং বম ও ভিন কুউ জেলায় ফসলের ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে এটি থেকে ফসলের ক্ষেতগুলোতে পানি ছাড়া হয়েছিল।
একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মাছের জন্য জলাশয়ে অতিরিক্ত পানি ভরার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু টানা তাপপ্রবাহের কারণে নীচের দিকে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়।
এএফপি জানিয়েছে, মৃত মাছগুলো অপসারণ প্রচেষ্টার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ ব্যাপকভাবে মাছ মারা যাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছে।
তথ্যসূত্র : সিএনএন