Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

নির্বাচন ও আইপিএলের চাপে ভারতের মুভি ইন্ডাস্ট্রি

bollywood cinema
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

ভারতে ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। বলা হয়, ভারতের এ লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক কর্মযজ্ঞ। এরই পাশাপাশি চলছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ বা আইপিএল। এটিও বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনে তিন নম্বর সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল ইভেন্ট।

আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালু এই বছর ৫৫০ কোটি ডলার বা ৪ হাজার ৫৮৭ কোটি রুপিতে দাঁড়িয়েছে, যা ভারতের জিডিপির দশমিক ৬ শতাংশের সমপরিমাণ প্রায়।

অন্যদিকে ভারতের সিনেমা ইন্ড্রাস্টি প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি রুপির। ২০২৩ সালে ভারতের ৫০টিরও বেশি ওটিটি প্লাটফর্ম বা ভিডিও কনটেন্ট প্লাটফর্মের বাজার ছিল ৩৭০ কোটি ডলার বা ৩ হাজার ৮৬ কোটি রুপির। তবে এর মধ্যে ইউটিউবেরও হিসাব রয়েছে।

অর্থাৎ ভারতের ভিডিও কনটেন্ট ও মুভি বাজার ২ লাখ কোটি রুপির সমপরিমাণ। অংকের বিচারে আইপিএলের প্রায় ৪০ গুণ বড়।

তাহলে কেন বলা হচ্ছে, লোকসভা ও আইপিএলের চাপে পড়েছে ভারতের মুভি ইন্ড্রাস্ট্রি! আসলে চাপ বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে বিনিয়োগ আটকে থাকার ব্যাপারটি। বেশিরভাগ সিনেমা মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে এই দুইটি কারণেই।

ওটিটি প্লাটফর্মে ক্রিকেট খেলা

ভারতজুড়ে অনুষ্ঠিত হওয়া লোকসভা নির্বাচন শেষ হবে জুনের ১ তারিখে এবং ফলাফল ঘোষণা হবে। তার আগে সমস্ত আলোচনা চলছে, এ নির্বাচন কেন্দ্রিক। মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে এবার জিও সিনেমার একটি বিপণন কৌশল ভারতের ওটিটি প্লাটফর্ম ও সিনেমা ইন্ড্রাস্টিকে কিছুটা থমকেও দিয়েছে। জিও সিনেমা এ বছর আইপিএল সাবস্ক্রিপশন ফ্রি করে দিয়েছে। ফলে এই ওটিটি প্লাটফর্মের ভিউয়ার বেড়েছে তরতর করে। আইপিএলের প্রথম ম্যাচের আগেই জিওসিনেমার ভিউয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১১ কোটি ৩০ লাখ। এই প্লাটফর্মটিতে এ পর্যন্ত ৫৯ কোটি ভিডিও ভিউজ হয়েছে এবং দেখার সময় প্রায় ৬৬০ কোটি মিনিট।

আবার ডিজনি স্টারেও ৪৪ কোটি ৮০ লাখ ভিউয়ার নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করেছেন আইপিএলের মাঝামাঝি নাগাদ। যদিও খেলা আর সিনেমার দর্শক সবসময় এক নয়, তবু বিনোদনের পেছনে সময় এবং খরচের ভাগবাটোয়ারার একটি হিসাব তো রয়েই যায়।

ভোটে ব্যস্ত সিনে জগৎ

নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষে বেশকিছু সিনেমা হয়েছে। এরমধ্যে ১৯ শতকের হিন্দুত্ববাদী নেতা ভিনায়ক দামোদার সাভারকরের বায়োপিক মুক্তি পেয়েছে। এছাড়া ‘জেএনইউ: জাহাঙ্গির ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’, আর্টিকেল ৩৭০, ম্যায় অটল হু, বেঙ্গল ১৯৪৭,  রাজাকার, ‘অ্যাক্সিডেন্ট অর কন্সপিরেসি: গোধরা’ ইত্যাদি সিনেমার বিপক্ষে পরোক্ষভাবে মুসলিম বিদ্বেষ ও বিজেপির প্রপাগান্ডা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এসব সিনেমার কোন কোনটি বিজেপি নেতাদের অর্থায়নেও হয়েছে।

এই সময়ে বিশেষ বিশেষ দলের প্রচারণাধর্মী এমন ফিল্মের চাপেও রয়েছে ভারতের সিনেজগত। কেননা, বিনোদনপ্রিয় সিনেমাখোর দর্শকরা এ ধরনের প্রপাগান্ডামূলক সিনেমা অনেক ক্ষেত্রেই এড়িয়ে চলেন।

এর বাইরে চলচ্চিত্র সেলিব্রিটিদের একটি বড় অংশ নেমেছেন বিভিন্ন দলের হয়ে প্রচারণায়। আমির খান, সালমান খান, অক্ষয় কুমার, দীপিকা পাড়ুকোন, এ আর রহমান, আয়ুস্মান খুরানা এবং আলিয়া ভাটের মতো তারকাদের সামনে নিয়ে এসে বিজেপি তাদের সফট পাওয়ার কাজে লাগাচ্ছে।

থেমে নেই অন্যতম প্রধান দল কংগ্রেসও। সম্প্রতি বলিউড সেলিব্রেটির দিয়ে টুইটারে প্রচারণা চালিয়েছে তারা। ‘ভোট কারো, মাগার সোচ-সমাজকে’ শ্লোগান নিয়ে একটি ক্যাম্পেইনও চালু করেছে কংগ্রেস। দলটির ক্যাম্পেইনে তারকা কল্কি কোয়েচলিন, বরুণ গ্রোভার, তিগমাংশু ধুলিয়া, নন্দিতা দাস, স্বরা ভাস্কর, বিশাল দাদলানি, রেনুকা শাহানেসহ আরও অনেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে।

আবার সরাসরি দলগত প্রচারণার বাইরেও অভিনয় শিল্পীরা রাজনৈতিক অবস্থানের বিবৃতি দেওয়াতেও ব্যস্ত। গত মার্চে ১০০ জনেরও বেশি শিল্পী ‘স্বাধীন সিনেমা নির্মাণে বিজেপিকে ভোট না দেওয়া’র আহ্বান জানিয়ে পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলেন।  

এর কয়েকদিন পরেই ফিল্ম এবং থিয়েটারের সেলিব্রিটি অমল পালেকার, নাসিরুদ্দিন শাহ, কঙ্কনা সেন শর্মা এবং লিলেট দুবেসহ ৬০০ জনেরও বেশি শিল্পী, বিজেপিকে ‘ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, অরাজকতা, সংকীর্ণতা এবং অযৌক্তিকতার শক্তি’ হিেবে উল্লেখ করে আরেকটি বিবৃতি দিয়েছিল পত্রিকা ও গণমাধ্যমে।

কঙ্গনা রানাউত, মনোজ তিওয়ারি, শত্রুঙ্ঘা সিনহা,রাভি কিশান, অরুন গোভিল- এর মতো বলিউড অভিনেতারা লোকসভার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাছাড়া ৭ ধাপের এ ভোট যজ্ঞে সেলিব্রিটিরা নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিতেও ব্যস্ত। ফলে সিনেজগতের সমস্ত প্রচারণার প্রদীপ এখন নির্বাচনকেন্দ্রিক।  

চা কিংবা অন্য কোনও আড্ডায় সিনেমা নিয়ে আলোচনাও তাই কম।

তবুও যেসব সিনেমা মুক্তি পাবে

লোকসভা নির্বাচনের প্রথমদিনই উরফি জাভেদ ও তুষার কাপুরের ‘এলএসডি ২’ এবং বিদ্যা বালান অভিনীত ‘দো ওর দো পেয়ার’ সিনেমা দুইটি মুক্তি পেয়েছে ভারতের হলগুলোতে। ব্যবসা খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। আয়ুশ শর্মা অভিনীত ‘রাসলান’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২৬ এপ্রিল।

এরই ধারাবাহিকতায় রাজকুমার রাও-এর শ্রীকান্ত মে মাসের ১০ তারিখে এবং ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ৩১ মে।

মনোজ বাজপেয়ীর ‘ভাইয়া জি’ মে মাসের ২৪ তারিখ মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও এ ছবির প্রচার-প্রচারণা তেমন নেই। আগের ঘোষণা অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘তেহরান’ এবং ‘দ্য সাবারমাটি রিপোর্ট’ সিনেমা দুইটির। তবে নির্মাতারা এ দুইটি সিনেমার মুক্তির তারিখ নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেননি।

বিগ বাজেটের সায়েন্স ফিকশন সিনেমা ‘কাল্কি’র মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল মে মাসেই। কিন্তু এখন প্রভা ও দীপিকা পাডুকোনের এই সিনেমার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে জুনের ২৭ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখানে একটি কথা না বললেই নয় যে, জুনের ১ তারিখে ভারতের নির্বাচন শেষ হলেও পরদিন অর্থাৎ ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শেষ হবে ২৯ জুন। কাজেই ‘কল্কি’ সিনেমার মুক্তির দিন-তারিখ ঠিক করতে এ ব্যাপারগুলো মাথায় রেখেছেন প্রযোজকরা।  

এ বিষয়ে চলচ্চিত্র পরিবেশক আক্ষায়ী রাথি বলেন, “নির্বাচন তো অবশ্যই প্রভাব ফেলছে। তবে গত কয়েকবছর ভারতীয় মুভি ইন্ডাস্ট্রি যে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ মোকাবেলা করেছে, তাতেও নির্মাতারা কিছুটা ভীত। কেননা, লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত আসার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েই গিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ পরে মুক্তি দিলে হয়তো প্রচারণা ও সিনেমার ব্যাপারে আরও বেশি লোকে জানবে বলে মনে করছেন প্রযোজকরা। নির্বাচনের ডামাডোলে ঝুঁকি নেওয়ার চেয়ে অপেক্ষা করাই ভালো মনে করছেন তারা।”

তার মতে, তখন সংবাদমাধ্যম ও পত্রিকাগুলোও নির্বাচনের আবহ থেকে বেরিয়ে এসে এদিকে নজর দিতে পারবে। 

পরিচালক তুষার হীরানান্দিনীর শ্রীকান্ত সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু সেইসময় শাহরুখ-দীপিকার ‘জাওয়ান’ মুক্তি পাওয়ায় ‘শ্রীকান্ত’ পরে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেন তুষার। এবার লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে সেই সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

মুক্তির জন্য কি সঠিক সময় বেছে নেওয়া হলো- জানতে চাইলে পরিচালক তুষার বলেন, “হ্যা এ বিষয়ে তো প্রযোজকদের উদ্বেগ থাকেই। কিন্তু একজন পরিচালক হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে সবচেয়ে ভালো সিনেমাটি নির্মাণ করা এবং বাকিটা তাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া। ভুষণ কুমার এবং নিধি হীরানান্দিনী শ্রীকান্ত সিনেমাটির প্রযোজক। আমার তাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমার কাজ ছিল কেবল সঠিক সময়ে তাদের কাছে সিনেমাটি তুলে দেওয়া।”

বছরের দ্বিতীয় ভাগে সিনেমার জট

বেশিরভাগ সিনেমার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় বছরের দ্বিতীয় ভাগে একটি বড়সড় জটও লাগতে যাচ্ছে। অর্থাৎ তখন সব সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পাবে। আর এখন সিনেমা হল এবং দর্শকরা ভালো সিনেমা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কারণ কনটেন্ট ঘাটতি রয়েছে। অতগুলো সিনেমা বছরের শেষ অর্ধে মুক্তি পেলে দর্শক ও সিনেমা হল দুই পক্ষেরই নাভিশ্বাস উঠে যেতে পারে মনে করছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্টরা।

ভারতের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গের জড়িতরা মনে করেন, এই অস্থিরতা কমলে সিনেমা ব্যবসার একটি ভালো ইকোসিস্টেম তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে, যাতে দর্শকদের কাছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সিনেমা পৌঁছে দেওয়া যায়।

হোয়াইট রিভার্স মিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রীনিক গান্ধীর মত হলো, সিনেমা সমাজের অবস্থার প্রতিফলন ঘটায়, তাই এই মুহূর্তে সিনেমার প্রতি মনোযোগের অভাব মূলত ‘বড় পর্দায় বড় ছবি’র অনুপস্থিতিরই প্রতিফলন।

“নির্বাচনের সময় জাতির মেজাজ থাকে রাজনৈতিক, এবং তাই এই মওসুমে দর্শকের মনোযোগের একটি অন্যদিকে ঘুরে যায় রাজনৈতিক প্রচারণা, বিতর্ক এবং সংশ্লিষ্ট নিউজ কাভারেজের দিকে। এই বিচ্যুতি বিনোদনমূলক বিকল্পে দর্শকদের আগ্রহ তৈরি করে এবং সিনেমার প্রতি সেটির কমতি থাকে। মানুষ সিনেমায় যাওয়ার জন্য সময় এবং অর্থ ব্যয় না করে বরং রাজনৈতিক নানা ব্যাপারে মনোযোগ দেয়।”

তার মতে, রাজনৈতিক থিমকে কেন্দ্র করে নির্মিত সিনেমাগুলো সাধারণত বেশি দর্শক এসময়ে আকর্ষণ করে। কিন্তু শুধু বিনোদনের জন্য নির্মিত সিনেমাগুলি ততটা মনোযোগ পায় না।

ভোট কি সত্যিই প্রভাব ফেলে

ব্যবসায়ে মন্দার কারণে, দর্শকদের থিয়েটারে আকর্ষণের জন্য ভারতের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের চেষ্টার ঘাটতি নেই। গত সপ্তাহে, অনেক থিয়েটার দর্শক আকর্ষণের জন্য ৯৯ রুপিতে ‘এক টিকেটে দুই ছবি’ দেখার অফার দেয় অনেকগুলো সিনেকমপ্লেক্স।

তবে দ্রুতই সরকারের পক্ষ থেকে এই সুবিধা বন্ধ করার জন্য মাল্টিপ্লেক্সগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়, এই সুবিধা নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর হস্তক্ষেপ করবে।

পরিবেশক অক্ষয় রাথি বলেন, “এই কৌশলগুলো দর্শকদের আকর্ষণ এবং মুখে মুখে প্রচারের জন্য একটি অস্থায়ী সমাধান হতে পারে। দর্শক আকর্ষণে এই কৌশল সাময়িকভাবে কাজে দিলেও দীর্ঘমেয়াদে তেমন ফলদায়ক নয়।

এই পরিবেশক সিনেমা মুক্তির ব্যাপারে আরেকটি ভিন্ন কৌশলের কথাও বলেন-  “কোনো সাময়িক কৌশলই সিনেমার জন্য বিস্ময়কর রকম দর্শক আনতে পারবে না। আর এর ফলে ভোটার হ্রাসও হয় না। আসলে, সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার সিনেমারও দর্শক মোট জনসংখ্যার মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ হয়। সেখানে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৬৫-৭০ শতাংশ। নির্বাচনও পর্যায়ক্রমে হয়, তাই সার্বিকভাবে মানুষের থিয়েটারে যাওয়া ভোটকে প্রভাবিত করবে না। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য এটি খুব ক্ষুদ্র। আমি সত্যিই মনে করি যে, গত কয়েক বছরে বিনোদন খাত যে ঝামেলার মধ্য দিয়ে গিয়েছে তার থেকে প্রযোজকদের একটু স্বস্তির প্রয়োজন।”

নির্বাচনের সময় দর্শক কমে যায় কিনা সে বিষয়ে সিনেমা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পিভিআর আইনোক্স লিমিটেডের রাজস্ব ও পরিচালনা বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম দত্ত বলেন, নির্বাচন হলো দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি সমাজের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে জড়িত।

“অনেক প্রতিষ্ঠান ভোট দেওয়ার জন্য পুরোদিনের ছুটি দেয় এমনটা বিবেচনা করে, দিনের বাকি সময়ে সামাজিক মেলামেশা এবং ঐচ্ছিকভাবে সময় কাটানোর জন্য বাকি থাকে। অতএব, আমরা বিশ্বাস করি যে নির্বাচনে দর্শক কমবে না। বাহ্যিক নানা প্রভাব থাকা সত্ত্বেও দর্শকদের হলে আসা সর্বদাই কন্টেন্টের মানের উপর নির্ভর করে”, দত্ত বলেন। তিনি আরও যোগ করেন যে মে মাসে কম বাজেটের ছবি মুক্তি পেলেও, ‘রুসলান’ এবং ‘শ্রীকান্ত’ এর মতো অভিনয় নির্ভর সিনেমাগুলোর দর্শক আকর্ষণ করার সম্ভাবনাই বেশি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত