কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় নাফিস আহমেদ তুষার (২৮) নামে জাসদ ছাত্রলীগের এক নেতাকে কু্পিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ছিলেন। ছুটিতে ১৭ রোজায় তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তার বাবা রবিউল ইসলাম রবি ওই ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তুষার গোলাপনগর বাজারের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ১২ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল চায়ের দোকানে সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল থেকে নেমেই চায়ের দোকানের ভেতরেই তুষারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। একপর্যায়ে তুষার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে তাকে আবারও কোপায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তুষারকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
ধারালো অস্ত্রের আগাতে তুষারের পা, হাত, বুক ও মাথাসহ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তুষারের মৃত্যু হয়।
ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজাউল করিম বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ঐ যুবকের দুই পায়ের রগ কেটে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাছাড়া পিঠে একাধিক গভীর ক্ষতের চিহৃ ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়েছিল।
মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ বেনু বলেন, “জানতে পেরেছি, হামলাকারীরা ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান আলীর ফকিরাবাদ বাসভবনে ইফতার মাহফিল থেকে এসে হামলা চালিয়ে আবার সেখানেই ফিরে যায়।”
তবে এ বিষয়ে শাজাহান আলীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, হত্যায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।