বিএনপির ‘নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে’ জনগণের কোনও আগ্রহ নেই মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা ‘তাদের দুঃশাসনের দুর্বিষহ’ দিনগুলোতে জনগণকে ফিরিয়ে নিতে চায়। রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বিএনপির প্রতি জনগণের এক ধরনের ঘৃণা রয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যে কারণে জনগণ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের জনগণকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হয়।”
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতারা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উস্কানি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণের নিকট রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকুনি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যদুস্ত বিএনপি।”
হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “দিন দিন তারা দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করে চলেছে।”
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমান বিরোধী দল ও মত দমনে ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেছিল।”
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল- উল্লেখ করে
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির আমলে রাষ্ট্রের কোনও প্রতিষ্ঠান গড়ে তো ওঠেইনি, বরং তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছে।
“রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিয়ে সেগুলোকে যেন বিএনপির কার্যালয় ও হাওয়া ভবনের সঙ্গে অঙ্গীভূত করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। এগুলোই বিএনপির অর্জন, যা জনগণ বর্জন করে আসছে।”
