Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

রামুতে গোলাগুলিতে একজন নিহত

dead body-27-01-24
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

কক্সবাজারের রামুতে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, মিয়ানমারের গরু পাচারকারীদের সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল নাইম্ম্যারঘোনা এলাকায় এ ঘটনায় আহত হয় আরও একজন।

নিহত আবুল কাশেম (৪৭) গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। তার বাড়ি গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকায়। আহত মনির আহমদ (৪০) গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার বাসিন্দা। 

আবু তাহের দেওয়ান বলেন, “মিয়ানমার থেকে গরু পাচারে কয়েকটি চক্র রামু উপজেলার গর্জনিয়া সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় গর্জনিয়া ইউনিয়নের নাইম্ম্যারঘোনা এবং জোয়ারিয়ারনালা ইউনিয়নের মালাপাড়া সেগুন বাগানের মধ্যবর্তী এলাকায় ডাকাত শাহীনের চক্রের সদস্যরা গরুর একটি চালান পার করছিল।”

তখন গরু পারাপারে নিয়োজিত শ্রমিকরা (গরু টানা পার্টি) স্থানীয় একটি ডাকাতদলের কবলে পড়ে।

“ডাকাতদলের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে গরুগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পাচারকারীরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ডাকাতদলের গুলিতে ঘটনাস্থলে এক গরু পাচারকারীর মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও একজন। পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।”

ওসি বলেন, “সংঘবদ্ধ ডাকাতদল শাহীন বাহিনীর মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর চালান গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে সেখানে গরু চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা শাকিল আদনান এবং তারেক মিশুসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে গরুর চালানগুলো হেফাজতে নেওয়া হয়। সুবিধাজনক সময়ে গরুগুলো কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়।”

এসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান আবু তাহের দেওয়ান। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল নিহতের মরদেহ মর্গে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত