Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

রিশাদের লেগ স্পিনই হতে পারে জাদুকরী

রিশাদ হোসেনের মতো পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যানকেই দরকার জাতীয় দলের। ছবি: সংগৃহীত।
রিশাদ হোসেনের মতো পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যানকেই দরকার জাতীয় দলের। ছবি: সংগৃহীত।
Picture of শিহাব উদ্দিন

শিহাব উদ্দিন

সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডের আগে বড় প্রশ্ন। রিশাদ খেলবেন নাকি খেলবেন না? উত্তর খুঁজতে একটু পেছনেই ফিরতে হবে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ ছিল ৯ মার্চ। ওই ম্যাচটিও ছিলো সিরিজ নির্ধারণী। রিশাদ হোসেন সেদিন ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে অনেক দূর টেনে নিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য, তিরে এসে ডুবেছিল তরী। এরপরও ওই ম্যাচে তার ব্যাট-বলের লড়াই যেন সিরিজের শেষ ওয়ানডে একাদশে অন্তর্ভূক্ত করার প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিচ্ছে। 

ওই ম্যাচে ৩০ বলে ৫৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন রিশাদ। ১৭৬.৭৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে কোন চার ছিল না, ৭টিই ছক্কা। একই ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ৩৫ রানে ২ উইকেট নেওয়া স্পেলও আছে তার।

সুতরাং রিশাদ হলো একের ভিতর দুই, লেগ স্পিন প্লাস পাওয়ার হিটার। এমন একজনকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের খুব দরকার। কারণ গত ম্যাচে ৮ নম্বরে নামা তানজিম হাসান সাকিব দলের প্রয়োজন সত্ত্বেও পাওয়ার হিট করতে ব্যর্থ হন। করেছেন ৩৩ বলে ১৮ রান।

কাল (সোমবার) শেষ ওয়ানডের আগে ছিটকে পড়েছেন পেসার তানজিম সাকিব। এদিকে গত দুই ম্যাচে ছিল তাইজুল ইসলামের গড়পড়তা পারফরম্যান্স। দুই ম্যাচ মিলিয়ে তার সংগ্রহ মাত্র ১ উইকেট ! তাইজুল হঠাৎ অকার্যকর হয়ে পড়ায় রিশাদের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া সোমবার শেষ ওয়ানডে হবে দিনে। তাই তার সুযোগটাও বাড়ছে বৈকি।

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও সকাল সন্ধ্যাকে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন, “রিশাদের খেলার সম্ভাবনা আছে শেষ ম্যাচে। খেলবে হয়তো। ডে ম্যাচ, তাই শিশিরের কোনো সমস্যা নেই। এজন্য তার খেলার সুযোগ আছে মনে করি। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট শেষ সিদ্ধান্তটা নেবে।”

টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন রিশাদ। ছবি: সংগৃহীত।

আধুনিক ক্রিকেটে লেগ স্পিন এক বড় সম্পদ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তা আরেকবার দেখিয়েছেন লঙ্কান লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে। তাকে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ। তাই চট্টগ্রামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে রিশাদ হতে পারেন বাংলাদেশের বড় অস্ত্র।

এমনিতেও ছন্দে আছেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ। সিলেটে তিনটি টি-টোয়েন্টিতেই সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে বোলিং অতো ভাল না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কোনও উইকেট না পেলেও মাত্র ২১ রান দিয়েছিলেন। শেষ টি-টোয়েন্টিতে নেন ২ উইকেট। উচ্চতার কারণে উইকেট থেকে বাউন্স আদায় করতে পারেন তিনি। জোরের ওপর বোলিং করেন বলে বল স্কিডও করে। বল স্কিড করানোর দক্ষতাটা একজন লেগ স্পিনারের ভাল অস্ত্র হিসাবেই ধরা হয়। 

এর চমৎকার ব্যবহারে বিপিএলে সফল হয়েছিলেন রিশাদ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ, তবে বোলিংয়ের সুযোগ পান ৩ ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। পরে খুলনার বিপক্ষে ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৬ রান। আর সিলেটের বিপক্ষে ৩৭ রানে নেন ২ উইকেট। চার ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়ার পরও বিপিএলে তিনি আর কোনও ম্যাচ পাননি দলীয় কম্বিনেশনের কারণে।

এবার ওয়ানডেতে জাতীয় দল খুঁজছে একটি ম্যাচ উইনিং কম্বিনেশন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অফ স্পিন অকার্যকর হওয়ায় রিশাদের দিকেই ঝুঁকছে নির্বাচক প্যানেল। লেগ স্পিনই পারে নতুন আশা জাগাতে। 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত