Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

অলিম্পিকে পদকের স্বপ্ন দেখায় যে পুরস্কার

কুল বিএসপিএ বর্ষসেরা শুটারের পুরস্কার হাতে কামরুন নাহার কলি। রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে। ছবি: সকাল সন্ধ্যা।
কুল বিএসপিএ বর্ষসেরা শুটারের পুরস্কার হাতে কামরুন নাহার কলি। রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে। ছবি: সকাল সন্ধ্যা।

কামরুন নাহার কলির হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন বাংলাদেশের শুটিং ইতিহাসের অন্যতম সফল তারকা দম্পতি সাইফুল আলম রিংকি ও সাবরিনা সুলতানা।

কমনওয়েলথ শুটিং ও সাফ গেমসে সোনাজয়ী এই শুটারদের হাত থেকে রবিবার কুল-বিএসপিএ বর্ষসেরা শুটারের পুরস্কার নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত কলি।

জাকার্তায় গত বছর বিশ্বকাপ শুটিংয়ে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ষষ্ঠ হয়ে ফাইনালে ওঠেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শুটার। বাছাইয়ে তিনি করেছিলেন ৬২৮.৪ পয়েন্ট। যদিও পদক জিততে পারেননি। কিন্তু এটাই ছিল কলির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। যে কারণে জিতেছেন বিএসপিএর এই পুরস্কার।

সবে শুরু কলির ক্যারিয়ার। ভ্রমণটা আরও দীর্ঘই হবে নিশ্চয়। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে পুরস্কার হাতে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কলি বলছিলেন, “ অ্যাওয়ার্ডগুলো আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। আর যে রেজাল্টগুলো করেছি সেগুলো শুরু ছিল। আমার লক্ষ্য এখন অনেক বড়। এসএ গেমস, বিশ্বকাপ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, অলিম্পিক।”

বাংলাদেশের শুটিংয়ে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে এক সময় দাপটের সঙ্গে খেলে পদক জিতেছেন শারমিন আক্তার, শারমিন আক্তার রত্না, সৈয়দা সাদিয়া সুলতানা।

এদের প্রজন্ম খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর সেভাবে এয়ার রাইফেলে আলো কাড়তে পারছেন না কেউ। কিন্তু গত দুই বছরে কলি আন্তর্জাতিক শুটিংয়ে স্কোর করে বাংলাদেশকে আশার আলো দেখাচ্ছেন।

বিভিন্ন খেলায় পুরস্কাজয়ীদের সঙ্গে ট্রফি হাতে কলি। ছবি: সংগৃহীত।

রত্না, শারমিনদের থেকেই অনুপ্রেরণা নিতে চান কলি, “সিনিয়র আপুরা সব সময় আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায় । একটা লক্ষ্য ঠিক করে দেয়। রত্না আপু, শারমিন আপু পদক জিতেছে, আমিও পেতে পারি। এবং ওটা পাওয়ার জন্যই প্রতিনিয়ত নিজেকে তৈরি করে যাচ্ছি।”

২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়াতে এশিয়ান এয়ার গান চ্যাম্পিয়নশিপে ০.৩ পয়েন্টের জন্য ব্রোঞ্জ জিততে পারেননি। পরের বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও কোনও পদক পাননি।

প্যারিস অলিম্পিকের কোটা প্লেসের সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি কলি। কিন্তু অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ড নিয়েও ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখেন তিনি, “অল্পের জন্য হেরে যাচ্ছি। আসলে এখন বাজে সময় যাচ্ছে আমার। এটা নিয়ে ইরানি কোচ কাজ করছেন। আগে যেমন আমরা স্কোর করতাম শুধু খেলার জন্যই । এখন টার্গেট করি ফাইনালে যেতে হবে। ফাইনালে ফাইট দিতে হবে। এখন চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে। আমরা কোটা অর্জন করিনি মানে এই না যে অলিম্পিকেও পদক পেতে পারি না। যদি দিনটা আমাদের হয় তাহলে পদক জিততেও পারি । সেই আত্মবিশ্বাস আছে আমার।” 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত