Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

পঞ্চম দিনে এক ঘণ্টা টিকল বাংলাদেশের লড়াই

পঞ্চম ইনিংসে ৮১ রানে অপরাজিত থেকে জুটির অভাবে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি মিস করেছেন মিরাজ। ছবি : ক্রিকইনফো
পঞ্চম ইনিংসে ৮১ রানে অপরাজিত থেকে জুটির অভাবে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি মিস করেছেন মিরাজ। ছবি : ক্রিকইনফো
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে টেস্টে চতুর্থ দিনেই ম্যাচ হার নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। দেখার ছিল পঞ্চম দিন বাংলাদেশ কতক্ষণ লড়াই করতে পারে। মেহেদি হাসান মিরাজ ও টেল এন্ডাররা লড়াই টানলেন এক ঘণ্টার মতো।

মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত থাকলেন এক প্রান্তে। অপরপ্রান্তে বাকি তিন টেলএন্ডার বিদায় নিলে ৩১৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ১৯২ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-০তে নিজেদের করে নেয় শ্রীলঙ্কা।

পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের অর্জন ৩০০ রান। সিরিজে প্রথমবার এত রান করল বাংলাদেশ। এছাড়া গত ৬ ইনিংসে প্রথমবার দলীয় ৩০০ রান এল। এই ইনিংসে করা ২০০ রানও ছিল ছয় ইনিংসে প্রথম। টেস্টে এই নিয়ে পঞ্চমবার চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ পেরোল বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৪১৩।

মিরাজের দৃঢ়তায় দলীয় সংগ্রহ ৩০০ ছাড়িয়েছে। টেস্টে নিজের ষষ্ঠ ফিফটিকে সেঞ্চুরির দিকে নিচ্ছিলেন এই ব্যাটার। জুটির অভাবে হলো না দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ১১০ বলে ১৪ চারে ৮১ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ৩৮ রানের জুটি গড়েছেন তাইজুল ইসলামের সঙ্গে।

তাইজুল ১৪ রান করে কামিন্দু মেন্ডিসের ফ্লাইটেড ডিলেভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট পয়েন্টে ক্যাচ দেন। এরপর ১১ ওভারের মতো মিরাজকে দারুণ সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ। শুধু ডিফেন্স করে লম্বা সময় ব্যাট করার আভাষ দিচ্ছিলেন। হয়তো পারতেনও মিরাজের সঙ্গে সেশন ধরে ব্যাট করতে। কিন্তু লাহিরু কুমারার বাউন্সার সামলানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

শরির বরাবর ঘন্টায় ১৪০ এর বেশি গতির বাউন্সারের বেগ সামলাতে পারননি হাসান। ৮৩ ওভারের তৃতীয় বলটি কোন মতে ডিফেন্স করেন। কিন্তু ওভারের পরের বলে একই বাউন্সারে একই ভাবে ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৬ রানে। শেষ হয় ৩১ রানের জুটি।

শেষ ব্যাটার খালেদ আহমেদকেও আউট করেন লাহিরু। এবার ওভারে চারটি বাউন্সার দেয়ার পর দুটো ইয়র্কার দেন এই পেসার। পঞ্চম বলে ইয়র্কার আটকে দিলেও শেষ বলে বোল্ড হন খালেদ। সফল ভাবে ডিফেন্স করতে পারলেও বল তার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত করে। ২ রানে খালেদের বিদায়ে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

তবে দিনের শুরু থেকে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে মিরাজ দেখিয়ে দিলেন এমন উইকেটে কিভাবে ব্যাট করতে হয়। প্রতি বলই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছেন এই ব্যাটার। এদিন তার ব্যাট থেকে আসার চারটি চারে ছিল না উচ্চাভিলাষী শটের চেষ্টা বরং বলের মেরিট অনুযায়ী খেলেছেন। ওপরের ব্যাটাররা মিরাজের মতো খেললে এই ইনিংসে ভিন্ন গল্প লেখা হতো বাংলাদেশের। তা হয়নি বাংলাদেশ ব্যাটারদের পুরোনো ভুল ব্যাটিং ব্যর্থতায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত