Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
বিশেষদের খেলায় অশেষ সাফল্য- ১

সরকারি বাজেট ০ বিশ্বমঞ্চে পদক ৩৩২

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অন্তত ৩৪ লাখ, যারা সমাজে অবহেলিত। অথচ তাদের নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ দুই মাস আগে পেয়েছে স্পেশাল অলিম্পিকস ইন্টারন্যাশনালের ‘শোকেস’ অ্যাওয়ার্ড। এই ‘বিশেষ’দের নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন মাতিয়ে আসছে বাংলাদেশ। তাদের সাফল্য, সুযোগ-সুবিধা আর কার্যক্রম নিয়ে তিন পর্বের এই আয়োজনের আজ প্রথম কিস্তি। লিখেছেন রাহেনুর ইসলাম।
বার্লিন স্পেশাল অলিম্পিকসে পদকের বৃষ্টিতে ভিজেছে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত
বার্লিন স্পেশাল অলিম্পিকসে পদকের বৃষ্টিতে ভিজেছে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

সাদা, কালো, লম্বা, খাটো- অন্য ১০ জনের মতোই সাধারণ তারা। তবু অন্যরকম। সবার চেয়ে আলাদা। বুদ্ধিতে পিছিয়ে থাকলেও মুখে লেগে থাকে সোনাঝরা হাসি। পুরো দেশকে তারা হাসির উপলক্ষ এনে দেন স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে। সক্ষমরা যখন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বেশিরভাগ সময় হতাশা বয়ে আনে সেখানে স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে বাংলাদেশ বরাবরই সমীহ জাগানিয়া নাম। এই গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো পরাশক্তিকে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে পাত্তা পায় না যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেটরা। অথচ দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরা এই খেলোয়াড়রা রয়ে যান আড়ালেই।

শুরু থেকেই সফল

স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসের পথচলা শুরু ১৯৬৮ সালে। বাংলাদেশ প্রথম অংশ নেয় ১৯৯৫-এর নবম আসরে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাভেনে ১৪৩ দেশের ৭ হাজারের বেশি অ্যাথলেটের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পদক জিতেছিল ২০টি। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইতালির মতো পরাশক্তিদের হারিয়ে ফুটবলের সোনা জেতে বাংলাদেশের ছেলেরা।

ওয়ার্ল্ড সামার গেমসের সাত আসরে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের সাফল্য আশাতীত। ২০০৭-এ চীনের সাংহাইয়ে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২টি সোনা আর ২০১১-তে গ্রিসের এথেন্সে সর্বোচ্চ ৩৫টি সোনা জেতে বাংলাদেশ। সর্বশেষ গত বছর জুনে জার্মানির বার্লিনে ২৪টি সোনাসহ ৩৩ পদক জিতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন ‘বিশেষ’ অ্যাথলেটরা। সর্বোচ্চ এই মঞ্চে সাতবার অংশ নিয়ে বাংলাদেশ পদক জিতেছে ৩৩২টি। অথচ তাদের জন্য সরকারি বাজেট নেই এক টাকাও!

নিজেদের সাফল্য নিয়ে ‘স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ’-এর জাতীয় পরিচালক ফারুকুল ইসলাম ‘সকাল সন্ধ্যা ডটকম’কে বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মজা করে আমাকে বলেছিলেন, ‘আপনাদের খেলোয়াড়রাই তো ভালো, স্বাভাবিক খেলোয়াড়দের চেয়ে ওরা বেশি পদক আনছে। ওদেরই দেখি বেশি করে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে’। আসলে প্রধানমন্ত্রী বড় অঙ্কের অনুদান দিয়ে সাহায্য করেন আমাদের। কিন্তু সরকারিভাবে এক টাকাও বাজেট নেই। সরকারি নিয়মিত বাজেট থাকলে বিশ্বমঞ্চে ৩৩২টির জায়গায় আরও বেশি পদক পেতে পারতাম।’’

ওয়ার্ল্ড সামার গেমস ছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক গেমস, ওয়ার্ল্ড উইন্টার গেমস, সাউথ এশিয়ান ইউনিফায়েড ক্রিকেট, ইউনিফায়েড বিচ ক্রিকেট কিংবা সাউথ এশিয়ান ফুটবল টুর্নামেন্টেও সফল ‘বিশেষ’ এই খেলোয়াড়রা। অথচ সরকারি বাজেট নেই এই গেমসগুলোর জন্য।

তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে স্বাচ্ছন্দ্য বাংলাদেশ

স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে খেলা হয় ছয়টি ধাপে। ওয়েক্সলার ইন্টেলিজেন্স স্কেল অনুযায়ী আইকিউ টেস্টে ৭০ বা তার কম পাওয়াদেরই বলা হয় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ৭০-কে মানদণ্ড ধরে কমবেশি নম্বর পাওয়াদের নিয়ে আলাদা করা হয় ছয়টি ধাপ। সবচেয়ে কম নম্বর পাওয়াদের নিয়ে হয় ‘লোয়ার ক্যাটাগরি’ বা এক নম্বর ধাপের খেলা। আর সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়াদের পাঠানো হয় ‘হায়ার ক্যাটাগরি’ বা ষষ্ঠ ধাপে।

গবেষণায় দেখা গেছে ৮৫ শতাংশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর শারীরিক শক্তি স্বাভাবিক মানুষের মতো। যারা সর্বোচ্চ শক্তিশালী তাদের খেলানো হয় ফুটবল, সাঁতারের মতো খেলায়। যাদের শক্তি সবচেয়ে কম তাদের খেলতে হয় বচির মতো খেলায়।

খেলোয়াড়দের আইকিউয়ের ফল বদলে অন্য বিভাগে পাঠালে পদক কেড়ে নেন ওয়ার্ল্ড সামার গেমসের বিচারকরা। এই নিয়মটার নাম ‘অনেস্ট এফোর্ট রুল’। খেলা চলার সময় চারজন অতিরিক্ত বিচারক রাখা হয়। তারা কোথায় থাকেন কেউ জানে না।

‘‘এক ও দুই নম্বর ধাপে খেলাতে হলে যে ধরনের কোচ আর মনোবিদ দরকার, আমাদের সেটা নেই। ছয়টা ধাপেই অংশ নিতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অনেক বেশি জাতীয় কোচ, স্কুলের শিক্ষক নিয়ে গেমসে যেতে হবে।’’

ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান

এই নিয়মে ২০১৫ সালের লস অ্যাঞ্জেলস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে সোনা হারান বাংলাদেশের এক সাঁতারু (তার সম্মানের জন্য নাম প্রকাশ করা হলো না)। সেই খেলোয়াড়ের দোষ ছিল না, তার কোচই খেলতে পাঠিয়েছিলেন নিচের ধাপে। এজন্য স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের কর্তারা আজীবন নিষিদ্ধ করেন সেই কোচকে।

বাংলাদেশ বেশিরভাগ খেলায় অংশ নেয় তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে। এর কারণ হিসাবে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের পরিচালক ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানালেন, ‘‘এক ও দুই নম্বর ধাপে খেলাতে হলে যে ধরনের কোচ আর মনোবিদ দরকার, আমাদের সেটা নেই। একই কথা পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপে। তৃতীয় আর চতুর্থ ধাপে আমরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। বাংলাদেশের সব সাফল্য এই দুই ধাপে। ছয়টা ধাপেই অংশ নিতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অনেক বেশি জাতীয় কোচ, স্কুলের শিক্ষক নিয়ে গেমসে যেতে হবে। আমাদের সীমিত সুযোগ-সুবিধায় সেটা সম্ভব নয়।’’

আশরাফ উদ দৌলার হাতে বাংলাদেশে শুরু

আশরাফ উদ দৌলার দুই ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এটা না লুকিয়ে ছেলেদের খেলার মাঠে আনেন তিনি। তারা ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে খেলেছেন, পদকও পেয়েছেন। আশরাফ উদ দৌলা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান একটা সময়। স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. শামীম মতিন চৌধুরী তারই ছোট বোন। সংগঠনের তিন বছর মেয়াদী কমিটিতে এই চেয়ারম্যান আছেন টানা ১২ বছর।

স্পেশাল অলিম্পিকসের কার্যক্রম

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ শুধু খেলা পরিচালনার একটা প্রতিষ্ঠান নয়। এর বাইরে বছরজুড়ে তারা নানা কাজ করেন। আসল উদ্দেশ্য, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো। এজন্য ‘বিশেষ’ শিশুদের বাবা-মায়েদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার কাজ করেন কর্তারা। তারা কীভাবে নিজেদের বাচ্চাদের সঙ্গে মিশবেন, সেটা শেখান আন্তরিকভাবে।

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ কাজ করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের স্কুল শিক্ষকদের নিয়েও। খেলার নানা কৌশল শেখানোর পাশাপাশি অ্যাথলেট হওয়া শিশুরা খেলা ছাড়ার পর কীভাবে চাকরি করতে পারে সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আরেকটা কার্যক্রম ‘ইউনিফায়েড লিভিং ইউনিফায়েড স্পোর্টস’। বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে স্বাভাবিক কয়েকজনকে নিয়ে দল গড়ে খেলানো হয় এই কার্যক্রমে। স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক ফারুকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে জানালেন, ‘‘সমাজের অনেকের ধারণা এসব পাগলদের সঙ্গে কী খেলব? কিন্তু এক সঙ্গে যদি খেলানো যায়, একই স্কুলে পড়ানো যায়, পরিবারে একসঙ্গে খেতে বসা যায়, তাহলে উন্নতিটা তাড়াতাড়ি হয়। এটা আমরা ইউনিফায়েড স্পোর্টস প্রোগ্রামের মাধ্যমে করে থাকি।’’

১২ খেলা ও প্রতিভা অন্বেষণ

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ বিভিন্ন গেমসে অংশ নেয় শুধু ১২টি খেলায়- অ্যাথলেটিকস, ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতার, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, বচি, ফ্লোর হকি, ফ্লোর বল, ভলিবল, বাস্কেটবল ও হ্যান্ডবল। স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই খেলাগুলোতেই।

প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রতিভা অন্বেষণ হয় দেশজুড়ে। যাদের ফিটনেস ভালো তাদের ডাকা হয় ক্যাম্পে। বিভিন্ন ফেডারেশনের কোচরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। বেতন না পেলেও আন্তরিকভাবে ‘বিশেষ’ খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেন তারা। এছাড়া বছরজুড়ে বিভিন্ন ক্যাম্প হয় বিকেএসপিতে।

১২০০ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের হিসেবে দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১২০০ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। তবে এই সংস্থা পৌঁছতে পেরেছে কেবল ৫০০ বিদ্যালয়ে, এর বেশিরভাগই সুইড বাংলাদেশের পরিচালিত। কর্মকর্তারা খেলোয়াড় খুঁজে নেন এই বিদ্যালয়গুলো থেকেই।

বাংলাদেশে এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় রয়েছে ৮৩টি। এই স্কুলের শিক্ষকরাই পান সরকারি বেতন। অন্য স্কুলগুলোর শিক্ষকদের প্রায় সবাই কাজ করেন স্বেচ্ছাশ্রমে।

এ নিয়ে নওগাঁ আশার আলো অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. অসিম উদ্দিন জানালেন, ‘‘বাংলাদেশের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো সুইড নামের এনজিওর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করা। তারা শুধু অনুমোদনটাই দিয়েছে, বাকিটা করি আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে। আমার প্রতিষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র শিক্ষকতা করেন বিনা বেতনে। কখনও এমপিওভুক্ত হলে তখনই বেতন পেতে পারেন তারা। এই চিত্রটা সারা দেশেরই। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান নানা অনুদান পেয়ে নামমাত্র সম্মানী দেন শিক্ষকদের।’’

নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে একজন করে মনোবিদ থাকা বাধ্যতামূলক। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশের ১২০০ বিদ্যালয়ে ১০০ জন মনোবিদও নেই।

পৃষ্ঠপোষক কারা

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক ফারুকুল ইসলাম জানালেন, ‘‘আমাদের বছরে খরচ হয় ১ কোটি টাকার মতো। বড় গেমস হলে খরচ বেড়ে যায়। সর্বশেষ বার্লিন ওয়ার্ল্ড গেমসে খরচ সাড়ে ৩ কোটি টাকা। প্রতি চারজন খেলোয়াড়ের জন্য কোচ থাকেন একজন। পাশাপাশি সঙ্গে নিতে হয় খেলোয়াড়দের স্কুল শিক্ষকদের। তাদের ছাড়া বিদেশের মাটিতে এই খেলোয়াড়দের সামলানো অসম্ভব। কোচ আর স্কুল শিক্ষকদের বহর বেশি হওয়ায় কেবল বিমান ভাড়াই লেগেছে দেড় কোটি টাকা।’’

সরকারের যেহেতু তাদের নিয়ে আলাদা বাজেট নেই, তাই প্রশ্ন এত টাকা আসে কোথা থেকে? স্পেশাল অলিম্পিকস ইন্টারন্যাশনাল (এসওআই) প্রতি বছর অনুদান দেয়

২০ হাজার ডলার বা প্রায় ২২ লাখ টাকা। এখান থেকেই বেতন নেন ফারুকুল ইসলাম। একইভাবে অন্যান্য দেশের জাতীয় পরিচালকদের বেতন দেয় এসওআই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দেন এই সংস্থাকে। এবার বার্লিন গেমসের আগে দিয়েছিলেন এক কোটি টাকা। ২০১৯ আবুধাবি গেমসের আগে দিয়েছিলেন ২ কোটি টাকা। এর আগেও নানা অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অনুদান দেয় ১৯টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষক।

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের সরবরাহ করা সেই তালিকায় নাম আছে পূবালী ব্যাংক, প্যারাগন গ্রুপ, নিউ এশিয়া গ্রুপ, রেনেটা গ্রুপ, প্রাইম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, গোবিডিগোডটকম, ইফাদ গ্রুপ, ইস্পাহানি গ্রুপসহ কিছু ব্যক্তির নাম।

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনজিও ব্যুরোতে রেজিস্ট্রার্ড করা প্রতিষ্ঠান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অ্যাফিলিয়েটেড নয়। এজন্যই অন্য ফেডারেশনগুলোর মতো সরকারি বাজেট বরাদ্দ নেই তাদের জন্য। এ নিয়ে ফারুকুল ইসলামের আক্ষেপ, ‘‘শুরু থেকেই আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছি। সেই নিবন্ধন বাতিল করে এনএসসিতে গেলে আন্তর্জাতিকভাবে নানা জটিলতায় পড়ব। তবে আমাদের বিশেষ খেলোয়াড়দের বাজেটের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতেই পারে সরকার।’’

স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে বাংলাদেশ

সালদেশসোনারুপাব্রোঞ্জমোট
১৯৯৫যুক্তরাষ্ট্র২০
১৯৯৯যুক্তরাষ্ট্র২১৩৬
২০০৩আয়ারল্যান্ড১০২২
২০০৭চীন৩২১৫২৪৭১
২০১১গ্রিস৩৫১৬৫৮
২০১৫যুক্তরাষ্ট্র১৮২২১৪৫৪
২০১৯আরব আমিরাত২২১০৩৮
২০২৩জার্মানি২৪৩৩

(সূত্র: স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ)

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত