Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

৯ মাসে শতাধিক অটোরিকশা চুরি করে চক্রটি

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরিতে জড়িত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরিতে জড়িত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

ঢাকার বনশ্রী এলাকায় চালককে অজ্ঞান করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি এবং পরে ওই চালকের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম।

তিনি জানান, গত ৪ মে রাজধানীর মুগদা মানিক নগর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন– ছিনতাই চক্রের হোতা মো. শরীফুল ইসলাম (৩২) ও তার অন্যতম সহযোগী চান্দু (৪০) এবং চোরাই রিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া (৫৯) ও মো. আল আমিন (৩৮)।

তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তার শরীফুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে গত ৯ মাসে শতাধিক রিকশা চুরি করেছে। বনশ্রীতে চালককে অজ্ঞান করে অটোরিকশা চুরির পরেও তারা আরও অন্তত ৯টি অটোরিকশা চুরি করেছে।

এসব রিকশা তারা ফুল মিয়া ও অপর একটি চক্রের কাছে বিক্রি করত বলেও জানিয়েছে শরীফুল, বলছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম বলেন, গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে আপডাউন যাতায়াতের কথা বলে চালক শাহ আলম মিয়ার রিকশা ভাড়া করে চক্রটি। পরে মাঝপথে কৌশলে রিকশাটি চুরি করে নিয়ে নেয় চক্রটি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে চক্রের হোতা শরীফুল ইসলাম। সে পেশায় কভার্ড ভ্যানের চালক। শরীফুল যে কভার্ড ভ্যানটি চালাত সেটি তার মালিক বিক্রি করে দেওয়ায় সে বেকার হয়ে যায়। এরপর একজনের মাধ্যমে অটোরিকশা চুরি শেখে সে।

এই চক্রটি প্রতি সপ্তাহে অন্তত চারটি রিকশা চুরি করত জানিয়ে হায়াতুল ইসলাম বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে অটোরিকশা চালক শাহা আলমের রিকশায় দুজন যাত্রী ওঠে। পরে পথে চালককে অজ্ঞান করে রিকশাটি নিয়ে যায় চক্রটির সদস্যরা।

পরে অটোরিকশার চালক শাহা আলমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাহা আলমের ছেলে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চক্রের হোতা শরীফুল ইসলাম এবং তার সহযোগী চান্দু ও শাহাবুদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। পরে শনিবার রাতে মুগদা থানার মানিক নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শরীফুল ও চান্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩২টি চেতনানাশক ট্যাবলেট ও একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

হায়াতুল ইসলাম বলেন, পরে শরীফুল ও চান্দুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচায় জড়িত ফুল মিয়া ও আল আমিনকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত