Beta
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির নিন্দা টিআইবি-ডিআরইউর

বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা গভর্নর ভবনের সামনের সিঁড়িতে বসে ঘণ্টা দেড়েক অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা গভর্নর ভবনের সামনের সিঁড়িতে বসে ঘণ্টা দেড়েক অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপ ‘জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে প্রতিবন্ধকতা’ উল্লেখ করে দ্রুত তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের এ কড়াকড়িকে নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে টিআইবির বিবৃতিতে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, “খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা এবং জালিয়াতি ও সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংক খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চায়? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এ উদ্যোগ?”

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, “বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে, তার বেশিরভাগ এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে। তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋণখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে?”

টিআইবি মনে করে, ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই হতবুদ্ধি অবস্থায় আছে। এ গোপনীয়তা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তাতে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব ও বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যাংকের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ দিতে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সে কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে।”

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে দ্রুতই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে বলে প্রত্যাশা করছে টিআইবি।

বিবৃতিতে অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্টারদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ডিআরইউ।

সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন বিবৃতিতে বলেন, রিপোর্টাররা সবসময় অবাধে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদ প্রকাশ করে আসছে। হঠাৎ করে রিপোর্টারদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা উদ্দেশ্যমূলক, অনভিপ্রেত এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। এর ফলে ব্যাংকিং খাত নিয়ে ভুল রিপোর্টিং হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে, যা কোনও পক্ষেরই কাম্য নয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত