সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠায় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলকে ঢাকায় তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
লুৎফুল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। তিনি সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
সিংড়ার ৮ নম্বর শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন লুৎফুল। ওই পদ ছেড়ে এবার তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে যেসব উপজেলায় ভোট হবে, তার মধ্যে সিংড়াও রয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে সিংড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হচ্ছে। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনও ছাপা হয়।
বিষয়টি গোচরে আসার পর বুধবার কমিশন এনিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে। একদিন বাদে লুৎফুলকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হলো।
চিঠিতে তাকে আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও অপহরণকাণ্ডের প্রাথমিক সভ্যতার প্রমাণ মিলেছে উল্লেখ করে বলা হয়, “এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে আগামী ২২ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪.১০ ঘটিকায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।”
সিংড়ায় এবারের নির্বাচনে গত সোমবারের আগ পর্যন্ত লুৎফুল হাবিব একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। ফলে তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ছিল।
কিন্তু সোমবার দেলোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন তার বড় ভাই, কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক এবং কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুন্সি।
ওই দিন দুপুরে নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে একটি মাইক্রোবাসে তাদের অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তাতে লুৎফুলের নাম আসছে। তবে এ বিষয়ে লুৎফুলের কোনও বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে আসেনি।