একই শহরের দুই ক্লাব ইন্টার ও এসি মিলান। ইতালিয়ান সিরি ‘এ’র অন্যতম সফল ক্লাবও তারা। তবে মিলান ডার্বির ১১৬ বছরের ইতিহাসে যা হয়নি এবার সেটাই হল। প্রথমবার ডার্বি জিতে শিরোপা উৎসবে ভাসল কোনও দল।
ইতিহাসটা গড়েছে ইন্টার মিলান। উত্তেজনা ও রোমাঞ্চকর ম্যাচে এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। তাতে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে ২০তম সিরি ‘এ’ বা স্কুদেত্তো জিতল তারা। এসি মিলান এই শিরোপা জিতেছে ১৯বার। ৩৩ ম্যাচ শেষে ইন্টারের পয়েন্ট ৮৬। দুইয়ে থাকা মিলানের পয়েন্ট ৬৯। শেষ ৫ ম্যাচ হারলেও এই ব্যবধান কমবে না।
২০তম সিরি ‘এ’ জিতলেও ২০১০ সালের পর এটা তাদের কেবল দ্বিতীয় শিরোপা। ২০২১ সালে আন্তোনিও কন্তে কোচ হয়ে জিতিয়েছিলেন স্কুদেত্তো। এরপর দুটি শিরোপা জিতেছে নাপোলি ও এসি মিলান। সিমোনে ইনজাগি কোচ হয়ে ফিরিয়ে আনলেন স্কুদেত্তো।
কৃতিত্বটা খেলোয়াড়দেরই দিলেনি ইনজাগি, ‘‘ডার্বিতে মিলানকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে? ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপা জয়ের কৃতিত্বটা ওদেরই।’’
অধিনায়ক লাওতারো মার্টিনেজ ২৫ গোল করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন শিরোপা জয়ে। আবেগে চোখের পানি আটকে রাখতে পারেনানি তিনি, ‘‘আমি কাঁদছিলাম। গর্ব হচ্ছিল দলের সবার জন্য।’’ ৩৩ ম্যাচে ইন্টার গোল করেছে ৭৯টি, হজম করেছে কেবল ১৮টি।
১৮তম মিনিটে ইন্টারকে এগিয়ে নেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ফ্রান্সেসকো আচের্বি। বিরতির পর চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড মার্কাস থুরাম। ৮০তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়েছিলেন এসি মিলানের ফিকায়ো তোমোরি।
ইনজুরি টাইমে ইন্টারের একজন আর এসি মিলানের লাল কার্ড দেখেন দুজন! মিলান ডার্বি বলে কথা, উত্তেজনা তো থাকবেই।
শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে ইন্টার। এ নিয়ে সবশেষ ৬টি ডার্বি জিতল ইন্টার। ১৯১১-১৯১৩ আর ১৯৪৬-১৯৪৮ মৌসুমে টানা ছয়টি ডার্বি জিতেছিল এসি মিলানও। আগামী মৌসুমে তাদের ছাড়িয়ে যাবে কী ছন্দে থাকা ইন্টার?