Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

কায়সার কামালকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিতাড়িত করতে চান খোকন

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পদ হারানোর জন্য সংগঠনটির মহাসচিব কায়সার কামালকে এক হাত নিয়েছেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।

কায়সার কামালের ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাকে বিতাড়িত করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন সভাপতি খোকন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরদিন সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে এই আহ্বান জানান।

এবার সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খোকন সভাপতি নির্বাচিত হলেও আইনজীবী ফোরাম তার সংগঠন থেকে নির্বাচিতদের দায়িত্ব না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

খোকন সেই অনুরোধ না রাখায় রবিবার তাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানায় এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

সংবাদ সম্মেলনে খোকন বলেন, “বালক কায়সার কামাল আত্মস্বীকৃত একজন অপরাধী। নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তার আইনজীবী সমিতির পদ থাকতে পারে না। ছলে বলে কৌশলে তিনি এখন আইনজীবী নেতা হয়েছেন।”

একজন আইনজীবীর স্ত্রীর সঙ্গে কায়সাল কামালের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তুলে পুরো ঘটনার তদন্ত করে কায়সার কামালকে দল থেকে বহিষ্কার করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রতি আহ্বান যুগ্ম মহাসচিব খোকন।

সুপ্রিম কোর্টের নারী আইনজীবীদের ‘রক্ষার জন্য’ আইনজীবী সমিতি থেকে তাকে বিতাড়িত করারও আহ্বান জানান তিনি।

খোকনের এই বক্তব্যের বিষয়ে কায়সার কামালের কোনও প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি পেলেও দলে তিনি এখনও রয়েছেন জানিয়ে খোকন বলেন, “১৮ বছর বয়স থেকে আমি বিএনপি করছি, বিএনপিই করব।”

সা্বেক সংসদ সদস্য খোকন এর আগে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ছিলেন। এবারই প্রথম সভাপতি হলেন তিনি।  

সুপ্রিম কোর্ট বারের এবারের নির্বাচন নিয়ে খোকন বলেন, “বিএনিপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারের নির্বাচনের দায়িত্ব তাকে (কায়সার কামাল) দিয়েছিলেন। অথচ তিনি সেই দায়িত্ব পালন না করে লোকজন নিয়ে সাতক্ষীরা চলে যান। বারেরনির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম লড়াই করুক, এটা তিনি চাননি।”

ভোট গণনা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে খোকন বলেন, “বারের ভোট কিন্তু আমরা বর্জন করি নাই। ভোট বর্জন না করে ভোট গণনা কেন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল?

“সেটা ছিল হাস্যকর। বারের ভোট গণনায় বিএনপির সবাই থাকলে কম করে হলেও ১৩টি পদে জয় হত।”

হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া এবারের নির্বাচনে সমিতির ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ চারটি পদে বিজয়ী হয় বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে বিজয়ী হয় সরকার সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

গত ৬ ও ৭ মার্চ নির্বাচন শেষে ৯ মার্চ রাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা হয়। এ নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হামলা-মামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল সেই মামলায় গ্রেপ্তারও হন।

এরপর গত ২৭ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী এবং মহাসচিব কায়সার কামাল একটি চিঠি দিয়ে নবনির্বাচিতদের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

সেই চিঠি আমলে না নিয়ে গত ৪ এপ্রিল সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন খোকন। দায়িত্ব গ্রহণের আগে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। সেখানে তিনি ফোরামের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত