Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

আলু পেঁয়াজে গরমের দোহাই

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বস্তায় ‍কিছু না কিছু আলু ও পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বস্তায় ‍কিছু না কিছু আলু ও পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

দেশে টানা ২৭ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। একটানা এতদিন তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অসহনীয় এই গরমের প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। আলু ও পেঁয়াজের দাম হয়েছে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দামও। গরমে চাহিদা কমেছে মাছ-মাংসের, বেড়েছে শাক-সবজির। আর সবচেয়ে বেশি চাহিদা বেড়েছে কাঁচা আমের।

রাজধানী ঢাকার প্রধান প্রধান কাঁচাবাজারে বর্তমানে সাদা ও হালকা লাল রংয়ের আলু প্রতিকেজি ৫৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে এ ধরনের আলু বিক্রি হয় ৪৫-৫০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫৫ টাকা কেজি।

রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রচণ্ড গরম পড়ায় আলু ও পেঁয়াজের মতো পণ্য সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতি বস্তায় ‍কিছু না কিছু আলু ও পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বিক্রেতাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এই লোকসান পুষিয়ে নিতে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন তারা।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সাদেক খান কৃষি মার্কেটের মেসার্স আমিনপুর বাণিজ্যলয়ের মালিক বেলাল হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, গরমে আলু ও পেঁয়াজ আড়তেই পচতে শুরু করছে। এ কারণে এই পণ্যগুলোর দাম একটু বেড়েছে খুচরা বাজারে।   

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাবদাহ চলতে থাকায় একান্ত প্রয়োজন না হলে ক্রেতারা আসছেন না। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ক্রেতাদের ভিড় নেই। পণ্যের দামেও বড় কোনও পরিবর্তন নেই। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সয়াবিনের মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও স্থিতিশীল আছে।

শুক্রবার রাজধানীর মহাখালী, তেজগাঁও কলমিলতা বাজার, মগবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তাপপ্রবাহের কারণে দিনের বেলা বাজারে ক্রেতারা আসছেন না বললেই চলে। অল্প কিছু ক্রেতা এলেও তারা মাছ-মাংসের চেয়ে সবজি কিনতে বেশি আগ্রহী। গরমে গরুর মাংসের মতো পণ্যের চাহিদা বেশ কমেছে বলেও জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, ঈদের পর থেকে বাজারে ক্রেতার ভিড় কম। এখন গরমের কারণে পণ্যের চাহিদাও কমেছে। সব মিলিয়ে বাজার কিছুটা ঢিলেতালে চলছে।

তবে ক্রেতা কম থাকলেও গরুর মাংসের দাম কমেনি। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৬০-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস পড়ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম কমেনি, বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকায়।

বাজারে মাছের দামে তেমন কোনও পরিবর্তন নেই। সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পটোল, ঢেড়স, চিচিঙ্গার মতো অধিকাংশ সবজি কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দুল ও ঝিঙের দাম পড়ছে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে।

কিছুটা বাড়তির দিকে আদা ও রসুনের দাম। আদার কেজি পড়ছে ২০০-২২০ টাকা আর রসুন ১৬০-২২০ টাকা।

মানভেদে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১৪০ টাকার মধ্যে। নতুন দামের সয়াবিন বাজারে এসেছে। তবে সরবরাহ কম। এক লিটারের বোতলজাত তেল পড়ছে ১৬৭ টাকা।

ঈদের পর চালের দামে পরিবর্তন আসেনি। আটা ও ময়দার দামও আগের মতোই আছে। চিনির দাম কিছুটা কমে কেজিপ্রতি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরমে বাঙ্গি, কলা, তরমুজ ও কাঁচা আম কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ঢাকার পান্থপথের ক্রেতা মেহেদী হাসান বলেন, “গরমে বাসার সবাই হালকা পাকের খাবার পছন্দ করে। এ জন্য মাছ-মাংসের পরিবর্তে কয়েক পদের সবজি কিনলাম।

“কাঁচা আম কিনলাম ৭০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা আম দিয়ে ডাল রান্না গরমে সবাই পছন্দ করে। তাছাড়া দেশি ফলের দামও কিছুটা হাতের নাগালেই আছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত