Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

থাইল্যান্ডে দাবাড়ুদের অন্য রকম ঈদ

টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার পাশাপাশি হালকা সময়ও কাটাচ্ছেন দাবাড়ুরা। ছবি : সংগৃহিত
টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার পাশাপাশি হালকা সময়ও কাটাচ্ছেন দাবাড়ুরা। ছবি : সংগৃহিত
Picture of বদিউজ্জামান মিলন

বদিউজ্জামান মিলন

দাবা খেলা এবং ঘোরাঘুরি দুটোই হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিলের। শুধু শাকিল নন, সময়টা দারুণভাবে উপভোগ করছেন ফিদে মাস্টার তৈয়বুর রহমান, নাঈম হক ও মনন রেজা নীড়।

সিএডি নাখন নায়ক ইন্টারন্যাশনাল দাবায় অংশ নিতে বর্তমানে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের দাবাড়ুরা। দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়া এই দাবাড়ুদের জন্য নিয়মিত একটা ব্যাপার। কিন্তু খেলার সুবাদে দেশের বাইরে ঈদ কাটানো অনেকের জন্যই প্রথম।

এদেরই একজন ফিদে মাস্টার নাঈম হক দেশের বাইরে খেলতে গিয়ে মিস করছেন পরিবারকে, “ অবশ্যই আমার পরিবারকে ভীষণ মিস করছি। সব সময় ঢাকায় থাকি। কিন্তু ঈদে সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে গেলে পরিবারের অন্য আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা হয়। ওরাও অনেকে বিভিন্ন জায়গায় থাকে। শুধুমাত্র ঈদেই বাড়িতে আসে সবাই এবং সবার সঙ্গে দেখা হয়। এবার আর তাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হচ্ছে না।”

যদিও ঈদের দিন ব্যাংককে কাটানোর পরিকল্পনা আছে দাবাড়ুদের। সেটাই বলছিলেন নাঈম, “ব্যাংককে আমরা ঈদের নামাজ পড়ব। যেহেতু ঈদের দিন কোনও খেলা নেই তাই আশপাশের কোথাও ঘুরব।”

টুর্নামেন্টের লড়াইয়ে নিজের চাল দিচ্ছেন বাংলাদেশি দাবাড়ু। ছবি : সংগৃহিত

আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিলের দেশের বাইরে ঈদ কাটানো এবারই প্রথম কোনও ঘটনা নয়। এর আগে নেপালে ও ভারতে টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে ঈদ করেছেন। সেই স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, “ভারতে একবার ঈদ করেছি খেলতে গিয়ে। আরেকবার নেপালে ঈদের নামাজ পড়েছিলাম। এবার ব্যাংককে নামাজ পড়ার ইচ্ছা আছে। দেশ থেকে পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছি। এছাড়া থাইল্যান্ডে শপিং করব। নতুন জায়গায় নতুন পাঞ্জাবি পরে ঈদ করার আনন্দই আলাদা। তাছাড়া আমাদের সঙ্গে আছেন তৈয়ব (দাবাড়ু তৈয়বুর রহমান) ভাইয়ের পরিবার। উনাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরব। আমাদের সময়টা বেশ কেটে যাচ্ছে। ঈদের আনন্দটাও উপভোগ করছি আমরা।”

 থাইল্যান্ডের মধ্যবর্তী অঞ্চলের একটি এলাকা নাখন। এটি থাইল্যান্ডের পুরনো একটি প্রদেশ। এই শহরটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা। দাবা খেলার ফাঁকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছেন দাবাড়ুরা। অনেকে তো কায়াকিং (কায়াক নামের নৌকায় খরস্রোতা নদীতে রোমাঞ্চকর ভ্রমণ) করছেন। এই শহর থেকে গাড়িতে ব্যাংকক যেতে আড়াই ঘন্টা লাগে। খেলা শেষে তাই ব্যাংককেই ঈদ করবেন দাবাড়ুরা।

মনোন রেজা নীড় অবশ্য প্রথম ঈদ করছে বিদেশে। সে অবশ্য পরিবারকে খুব বেশি মিস করছে না বলেই জানিয়েছে, ‘আমি শুধু খেলায় ফোকাস করছি। খেলা শেষে ঘুরব। ঈদের দিনে সবার সঙ্গে আমিও ঘোরাঘুরি করবো। দেশের ঈদকে অবশ্য মিস করছি না আমি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত