ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিনটি পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন ১৯৮ প্রার্থী। এর ফলে আসন্ন নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন ১ হাজার ৬৯৩ প্রার্থী।
সোমবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সকাল সন্ধ্যাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আগামী ৮ মে দেশের ১৫০ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হবে। এসব উপজেলায় তিনটি পদে ১ হাজার ৮৯১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন ৬৯৬ প্রার্থী। এদের মধ্যে ৯৫ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় ভোটের মাঠে এখন আছেন ৬০১ প্রার্থী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও ৭৯ জন তা প্রত্যাহার করেছেন। এই পদে এখন প্রার্থীর সংখ্যা ৬৪৫।
সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য জমা পড়েছিল ৪৭১টি মনোনয়নপত্র। এই আসনে ২৪ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ফলে এখন ভোট করছেন ৪৪৭ জন।
স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক ছিল। এবার চার ধাপে ভোটের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিল ইসি।
এই ভোটে কোনও প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অন্যদিকে এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থান ধরে রেখেছে বিএনপি। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনেকটা নির্দলীয় প্রতীকেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ইসি জানিয়েছে, ভোটের দিনে ৮ মে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। ব্যালট ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দুই মাধ্যমেই ভোট হবে।
এবার ১৫০ উপজেলার মধ্যে ৯ জেলার ২২ উপজেলায় ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। জেলাগুলো হচ্ছে শরীয়তপুর, চাঁদপুর, জামালপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ ও কক্সবাজার।
আর ১২৮ উপজেলায় ভোট হবে ব্যালটে।
দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪। এদের মধ্যে ২৮টি এবছরের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা ১৬টি দল ভোট বর্জন করেছিল।