Beta
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মহিলা ফুটবলে ভজঘট

মেয়েদের লিগ স্পন্সর করবে না বসুন্ধরা

vvv

দেশের মহিলা ফুটবলে একটা ভজঘট লেগে গেছে। মহিলা ফুটবল লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস সরে দাঁড়ানোর পর এবার তাদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটি লিগের স্পন্সরও ‍তুলে নিচ্ছে।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল চলছে বসুন্ধরা গ্রুপের বদান্যতায়। ফুটবলে স্পন্সর সংকট এখন চরমে, কেউ-ই খুব আগ্রহ দেখায় না। খেলাগুলো নিয়মিত মাঠে রাখতে বাফুফেও পারে না স্পন্সর আনতে।

প্রিমিয়ার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ এমনকি পাইওনিয়ার লিগও চলে তাদের স্পন্সরে। পাশাপাশি মহিলা ফুটবল লিগকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। কয়েক বছর ধরেই চলছে এই ধারা। স্পন্সরের অভাবে মাঝে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল প্রথম বিভাগ থেকে পাইওনিয়ার লিগের খেলাগুলো। বসুন্ধরা গ্রুপ এগিয়ে আসায় লিগগুলো আবার নিয়মিত হয়েছে।

হঠাৎ এই ধারায় ছেদ টেনে দিয়ে এই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চার দিন আগে মহিলা ফুটবল লিগ স্পন্সর না করার সিদ্ধান্ত বাফুফেকে জানিয়ে দিয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। বাফুফে পাল্টা চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেনি। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারও বিকল্প স্পন্সর খোঁজার কথা জানিয়েছেন, “বসুন্ধরা গ্রুপ মেয়েদের লিগ স্পন্সরে অপারগতা প্রকাশ করেছে। আমরাও বিকল্প ভাবছি।”

তাদের সরে দাঁড়ানোর কারণ জানতে চাইলে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ও বাফুফে সহ সভাপতি ইমরুল হাসান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার খানিকটা আভাস দিয়েছেন, “মেয়েদের দল নিয়ে মাঝে একটু ঝামেলা হয়েছিল, এটাই বড় একটা কারণ হতে পারে। শুক্রবারের (আজ) মধ্যে আরেকটি স্পন্সর চূড়ান্ত হয়ে যাবে আশা করি।”

তিনি যে ঝামেলার কথা বলেছেন, সেটা হলো এবার মেয়ে ফুটবলাররা হঠাৎ করে বেশি পারিশ্রমিক চেয়ে বসেছিল বসুন্ধরা কিংসের কাছে। একেক জনের চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া! এটা দেখে কিংসের লোকজন পেছনের রহস্য খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজে কি পেয়েছে, এটা তারা খুলে না বললেও কিংস বার বার বাফুফের কাছে একটা অভিযোগ করে আসছিল। “একটি ক্লাব দল বাফুফে ভবনে থেকে, বাফুফের কোচ ব্যবহার করে লিগ খেলছে। প্রত্যেকবার একটা দলকে বাফুফে এমন সুবিধা দিয়ে লালন-পালন করলে লিগের কি কোনও চরিত্র দাঁড়ায়! তারা বিভিন্নভাবে কিংসের বিরুদ্ধাচারণ করার চেষ্টা করে।”— এভাবে হতাশা ঝেড়েছেন কিংসের মহিলা দলের এক কর্মকর্তা।

তিনি ইঙ্গিত করেছেন আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবের দিকে। বাফুফে সহ সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সুবাদে তার দলটি বাফুফে ভবনেই থাকে এবং বাফুফের কোচের অধীনেই লালিত-পালিত হয়। সেটা একটা বড় অভিযোগ কিংসের। অথচ এই ক্লাব মহিলা ফুটবল দল গড়ার পর থেকে মেয়েদের ঘরোয়া ফুটবলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বিশেষ করে করে ভাল ফুটবলাররা ভাল পারিশ্রমিক পেতে শুরু করেন। পাশাপাশি অন্যরাও পাচ্ছে কম-বেশি পারিশ্রমিক।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো ছেলেদের প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন দলটি মহিলা ফুটবলে আগ্রহী হয়ে এসেছিল। এই ধারায় আবাহনী-মোহামেডানের মত ঐতিহ্যবাহী দলগুলোও হয়তো একসময় মহিলা ফুটবলে আসতো। এখন সেই পথটাও বন্ধ হয়ে গেল !

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত