Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

কেন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন, জানাল বিএনপি

উপজেলা
ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।

আগে থেকেই বলে আসছিল বিএনপি, এখন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও জানাল যে তারা উপজেলা নির্বাচনে নেই।

দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় নেওয়া এই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির এই সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বিএনপি বলেছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। তখনই তারা বলেছিল, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে কোনও নির্বাচনেই তারা যাবে না।

সংসদ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আয়োজনে নামে নির্বাচন কমিশন। মে মাসে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে কয়েক ধাপে জুন পর্যন্ত চলবে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন।

বিএনপি আসছে না আভাস পেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে নিয়েছে।

সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের মনোনয়নপত্র দাখিলের খবরও আসছে।

তারমধ্যেই উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নিল খালেদা জিয়ার দল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিজভী বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে, সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংসাত্মক রূপে আত্মপ্রকাশ করে।

“বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যূদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে। এদের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনও নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।”

২০০৮ সালের পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। এরপর ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও পরে আর স্থানীয় সরকারের কোনও নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেয়নি।

ইসির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে রিজভী বলেন, “জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে।

“প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনওই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।”

গত ৭ জানুয়ারি ‘একতরফা’ সংসদ নির্বাচন করতে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ২৫ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে বন্দি করা হয় বলেও দাবি করেন রিজভী।

পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত