Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

তাপদাহ : হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের সব হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

রবিবার দেশের সরকারি হাসপাতালের পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

বৈশাখের শুরুতেই দেশে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপের পূর্বাভাস থাকায় জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ, বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। এমনকি গত দুদিনে চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও মাদারীপুরে গরমে অসুস্থ হয়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রবিবার সকালে অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে জানানো হয় এ তথ্য। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ।

তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে নানা ধরনের রোগ-বালাই। বিশেষ করে চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, এ বছর হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই হাসপাতালগুলোকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “গরমে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। এসব রোগী ব্যবস্থাপনায় নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং হাসপাতালগুলোতে এই নীতিমালা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”

পরিস্থিতি সামলাতে কয়েকটি নির্দেশনাও দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বয়স্ক ও শিশুরা যেন এখন প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে বের না হয় সেদিকে নজর রাখার কথা বলেন তিনি। হাসপাতালগুলোতে এখন কোনও কোল্ড কেস ভর্তি না করারও পরামর্শ তার। অর্থাৎ যেসব অপারেশন এক মাস পর করলে অসুবিধা না হয়, তা দুই সপ্তাহ পর করা হোক।

দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “হাসপাতালে যদি চাপ হয়, তাহলে যেন শিশু এবং বয়স্কদের ভর্তি করা হয়।”

গরমের এই সময়ে হাসপাতালে ‘পর্যাপ্ত’ স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনও ঘাটতি হলে- যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির ওপর তো আমাদের কারও হাত নেই। আমাদের তৈরি থাকতে হবে।”

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, হয়তো পুরো এপ্রিলজুড়েই অব্যাহত থাকবে হিট এলার্ট।

শিশুদের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সামন্ত লাল বলেন, “শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। শিশুদের চিকিৎসা নিশ্চিতে সারা দেশের চিকিৎসকদের নিয়ে রবিবার থেকেই অনলাইন প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।”

সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনও লক্ষণ দেখা দেয়; তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।”

মহাখালীতে কোভিডের চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এখন আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত