Beta
শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪

গাজায় হাসপাতালে গণকবরে প্রায় ৪০০ মরদেহ

নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কবর খুঁড়ছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কবর খুঁড়ছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

ইসরায়েলি বাহিনির নৃশংসতার চিত্র সামনে আসছে। খোঁজ মিলছে গণকবরের। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে দুই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পর্যন্ত ৩৯২টি মরদেহ পাওয়া গেছে- জানিয়েছে ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা। 

গাজার খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে গত ফেব্রুয়ারির মাঝমাঝি সময়ে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর পেছনে তাদের অজুহাত ছিল, নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি জিম্মিদের আটকে রেখেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

ইসরায়েলি বাহিনি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ছাড়ে গত ৭ এপ্রিল। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর ২০ এপ্রিল নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গণকবরের সন্ধান পায় ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মীরা।

কেবল খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল নয়, গাজা শহরের রিমাল এলাকার আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণেও গণকবরের খোঁজ পাওয়া গেছে। প্রথমদিন অর্থাৎ ২০ এপ্রিল নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে ১৮০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

খোঁড়াখুড়ির ষষ্ঠ দিন বৃহস্পতিবার মরদেহগুলো সম্পর্কে নতুন ও ভয়াবহ সব তথ্য দিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন,৩৯২টি মরদেহের মধ্যে ১০টির হাত বাঁধা ছিল। আরও ১০টির সঙ্গে মেডিকেল টিউব ছিল।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি, এই ২০ জনকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনি। ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের সদস্য আল মিঘায়েল বলেন, “গণকবর থেকে উদ্ধার হওয়া ২০টি মরদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা দরকার। আমরা মনে করছি, জীবিত অবস্থায় তাদের কবর দেওয়া হয়।” 

ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাতে আল জাজিরা বলেছে, গাজার নাসের ও আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ৩৯২টি মরদেহের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি আছে। তাদের দেহে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।

ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান ইয়ামেন আবু সুলাইমান বলেন, “নাসের হাসপাতালসংলগ্ন তিনটি স্থানে গণকবর পাওয়া গেছে। একটি হাসপাতালের মর্গের পেছনে, আরেকটি মর্গের সামনে এবং শেষেরটি ডায়ালাইসিস ভবনের কাছে।”

গাজার দুটি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৯২টি মরদেহের মধ্যে মাত্র ৬৫টি তাদের স্বজনরা শনাক্ত করতে পেরেছে। 

এর কারণ হিসেবে সুলাইমান বলেন, মরদেহগুলোর একাংশ পচে গেছে। কোনও কোনওটির অঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। আর বাকিগুলো শনাক্তের অবস্থায় নেই, কারণ তারা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার।

গণকবরে মরদেহগুলো একটির ওপর আরেকটি স্তূপ করা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তাদের খোলা মাঠে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত