Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

টেকনাফে অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর চিকিৎসকসহ দুজন মুক্ত   

টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী পাহাড়ী এলাকা থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয় পুলিশ জানায়।
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী পাহাড়ী এলাকা থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয় পুলিশ জানায়।

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন পল্লী চিকিৎসকসহ দুজন। অভিযান চালিয়ে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে তাদের মুক্ত করা হয় বলে পুলিশের দাবি। 

টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী পাহাড়ী এলাকায় সোমবার রাত ১১টার দিকে অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি। 

অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা হলেন উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের পশ্চিম থাইংখালী এলাকার পল্লী চিকিৎসক মো. জহির উদ্দিন (৫১) এবং টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর নয়াপাড়ার মোহাম্মদ রফিক (৩২)।  

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দুজনই শারীরিকভাবে অক্ষত রয়েছেন। তাদের শরীরে নির্যাতনের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। 

অপহরণ ঘটনার বিষয়ে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, রবিবার রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া স্টেশন এলাকায় রোগী দেখা শেষ করে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন জহির উদ্দিন।

তাদের বহনকারী গাড়ি শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের হোয়াইক্যং ঢালা এলাকায় পৌঁছলে যাত্রীদের মধ্যে তিনজন অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে। একপর্যায়ে তারা জহিরসহ দুজনকে পাহাড়ি এলাকার দিকে নিয়ে যায়। 

পরে জহিরের ভাই ও স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ কমরুদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, অপহরণের দেড় ঘণ্টা পর জহিরের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।  

ঘটনাটি জানার থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।

“বাহারছড়া ইউনিয়নের অপরাধপ্রবণ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চলাকালে সোমবার রাত ১১টার দিকে সম্ভাব্য গ্রেপ্তার এড়াতে অপরাধীরা অপহৃত দুজনকে শিলখালী পাহাড়ি এলাকায় ছেড়ে যায়।”

পুলিশ কর্মকর্তা ওসমান গণি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে আছেন। অপহরণের ঘটনা জানতে তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্বজনদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে। 

মুক্তিপণ ছাড়াই জহিরসহ দুজন ছাড়া পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার ভাই কমরুদ্দিন।   

২০২৩ সালের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় ১২০ জনকে অপহরণ করা হয়। এদের মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। বাকিরা রোহিঙ্গা।

অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জনকে মুক্তিপণ দেওয়ার পর ছাড়া হয়।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত