Beta
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

একদিনে ভেসে এলো ৫ মৃত মা কচ্ছপ

কচ্ছপ
কক্সবাজার সৈকতে মঙ্গলবার ভেসে আসা একটি কচ্ছপের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একদিনে ভেসে এসেছে পাঁচটি মৃত মা কচ্ছপ। এদের মধ্যে দুটির পেটে ডিম ছিল ১৮৫টি, বাকি তিনটি পচে যাওয়ায় ডিমের সংখ্যা হিসাব করা যায়নি।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকালের মধ্যে সৈকতের সোনাপাড়া পয়েন্টে তিনটি ও হিমছড়ির প্যারাসেলিং পয়েন্টে দুটি মা কচ্ছপের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া পাঁচটি কচ্ছপই রিডলি প্রজাতির এবং নারী। সকালে যে দুটি কচ্ছপ ভেসে এসেছিল তাদের পেটে ১৮৫টি ডিম পাওয়া যায়। বিকেলে পাওয়া কচ্ছপগুলোর পেটেও ডিম রয়েছে। তবে তা পচে যাওয়ায় সংখ্যা জানা যায়নি।

এ নিয়ে গত ছয় দিনে কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে ভেসে এসেছে ১১টি মা কচ্ছপ। যেগুলোর পেটে পাওয়া গেছে প্রায় ৭০০ ডিম। এছাড়া চলতি বছর এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৩৪টি মৃত মা কচ্ছপ।

মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “সকালে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপদুটির সামনের ও পেছনের ফ্লিপারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। বিকালে পাওয়া তিনটি পচে গেছে। ডিম দিতে উপকূলে আসার সময় মাছ ধরার জালে বা অন্য কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এদের মৃত্যু হতে পারে।”

গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজার সৈকতে টানা ভেসে আসছে মৃত প্রাণী। এর মধ্যে মা কচ্ছপের সঙ্গে রয়েছে ডলফিন ও শুশুকও।

সোমবার সৈকতের হিমছড়ি প্যারাসেলিয়ং পয়েন্টে ৯৫টি ডিম পেটে নিয়ে ভেসে এসেছিল একটি মৃত মা কচ্ছপ। আগের দিন ভেসে আসা তিনটি মৃত কচ্ছপের পেটে মিলেছিল ৩১০টি ডিম।

শুক্রবার সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে একটি এবং ইনানী সৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। তার আগের দিন ভেসে আসে একটি ইরাবতী ডলফিন। ১৪ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে এসেছিল একটি মৃত শুশুক।

বোরি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে অন্তত ৩৪টি মৃত কচ্ছপ পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।  

তিনি বলেন, “কয়েকদিন ধরে ভেসে আসা মৃত সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমন আগে কখনও হয়নি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত