Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

‘তিমিরবিনাশী’ মঙ্গল শোভাযাত্রায় বর্ষবরণ

মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রবিবার বরণ করে নেওয়া হয়েছে নতুন বাংলা বছরকে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রবিবার বরণ করে নেওয়া হয়েছে নতুন বাংলা বছরকে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ প্রতিপাদ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে নতুন বাংলা বছর ১৪৩১।

রবিবার নতুন বছরের প্রথম দিনে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে বারডেমের পাশ দিয়ে, শিশু একাডেমির সামনের মোড় ঘুরে আবার শাহবাগ দিয়ে টিএসসি হয়ে চারুকলার সামনে শেষ হয়।

লোকসংস্কৃতির উপকরণ ও দেশের বিপন্ন প্রাণীদের নিয়ে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রতীকগুলো তৈরি করা হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। অন্যদের মধ্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি প্রস্তুত করা হয়।

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড় আকারের প্রতীকগুলো তৈরি করা হয়েছে লোকসংস্কৃতির উপকরণ ও দেশের বিপন্ন প্রাণীদের নিয়ে। এর মধ্যে আছে হাতি, বনরুই টেপাপুতুল, চাকা ইত্যাদি। এছাড়াও শোভাযাত্রায় ছিল বড় আকারে রাজা-রানির দুটি মুখোশ। ছোট আকারে হাতে বহন করার মতো ফুল, প্যাঁচা, পাখির মুখোশ ছিল শতাধিক।

বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

১৯৮৯ সালে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় শোভাযাত্রা। সেবারই এ উৎসব সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এরপর থেকে বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে এই শোভাযাত্রা।

১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এ আনন্দ শোভাযাত্রা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম ধারণ করে। পরে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত