মুশফিকুর রহিম নাকি শুধু বিপিএল ফাইনাল হারেন। তাকে যে দল নেয় তারাই হেরে যায়। তাহলে মাহমুদউল্লাহর ব্যাপারে কি বলবেন? মুশফিক যতবার ফাইনালে হেরেছেন মাহমুদউল্লাহর হারও ততবার। সমান দুবার করে। এমন দুজনকে নিয়ে ফাইনালে নামা শুরুতেই মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার কথা!
তামিম ইকবালের মনে ভয় ধরেছিল কিনা জানা নেই, তবে বিপিএল শিরোপা তাদের নিয়েই জিতেছেন তামিম। আর এই ট্রফি তাদের দুজনকেই উৎসর্গ করেছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণাও দিয়েছেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক।
২০১৩ সালে চট্টগ্রাম কিংসের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিপিএল ফাইনাল খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের কাছে ৪৩ রানে হারে তার দল। ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের অধিনায়ক হিসেবে আবার ফাইনালে পা রাখেন। এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হারতে হয় ৩ উইকেটে।
মুশফিকুর রহিম ২০২০ সালে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিপিএল ফাইনাল খেলেন। আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহীর কাছে ২১ রানে হেরে যান সেবার। আর পরেরবার গত বছর। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে কুমিল্লার কাছে হারেন ৭ উইকেটে।
এবার বরিশালের হয়ে নানা ব্যঙ্গ টিপ্পনী শুনতে হয়েছে তাদের। সব অভিজ্ঞরা এই দলে খেলায় তাদের বলা হয়েছিল “বুড়োদের দল”। তারাই শিরোপা জিতে থামল। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে ডেকে নিয়ে আলাদা সম্মান জানিয়েছেন তামিম। নিজের চেয়েও তাদের অবদানকে স্মরণ করেছেন বেশি করে।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রফি উৎসর্গের ব্যাপারে বলেছেন, “অবশ্যই যেকোনো ট্রফি জয় অসাধারণ ব্যাপার। কিন্তু এবার ভিন্ন ছিল। আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিল কিছু তরুণ খেলোয়াড় মিরাজ বলেন বা সৌম্য বলেন। দুইজন সিনিয়র ক্রিকেটার রিয়াদ ভাই, মুশফিক। তারা দেশকে অনেকদিন ধরে সেবা দিচ্ছে। কিন্তু ওরা এই ট্রফিটা এখনো পায়নি। আমার নিজেরই একটা ইচ্ছা ছিল আল্লাহ যদি আমাদের দেয় (ট্রফি) তাহলে এই ট্রফি তাদের উৎসর্গ করব।”
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মতো আরও যারা জয়ের অপেক্ষায় ছিলেন সেই মিরাজ-সৌম্য-সাইফউদ্দিন-তাইজুলদের অবদানও আলাদা করে স্মরণ করেছেন তামিম।