Beta
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

ফাইনালের আগে অধিনায়ক ছাড়াই ফটোসেশন

ঢাকার আহসান মন্জিলে ট্রফি নিয়ে দুই দলের প্রতিনিধি মিরাজ ও অনিক। ছবি : বিসিবি।
ঢাকার আহসান মন্জিলে ট্রফি নিয়ে দুই দলের প্রতিনিধি মিরাজ ও অনিক। ছবি : বিসিবি।

বিপিএলের গত দুই আসরে এমন হয়েছিল। ফাইনালের ট্রফি উন্মোচন অথচ এক দলের অধিনায়ক তাতে নেই। এবার ব্যতিক্রম হয়েছে, তা হল দুই দলের অধিনায়ক-ই নেই।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্য আহসান মঞ্জিলে হয়েছে এবারের ট্রফি উন্মোচন। তাতে ফরচুন বরিশালের হয়ে তামিম ইকবালের পরিবর্তে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে লিটন দাসের বদলে ছিলেন জাকের আলি অনিক।

গত বিপিএলের ফাইনালের আগে মেট্রো রেলে ট্রফি উন্মোচনে কুমিল্লার অধিনায়ক হিসেবে ইমরুল কায়েস উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার বদলে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এর আগের মৌসুমে কুমিল্লার ইমরুল থাকলেও মিরপুরের অনুষ্ঠিত ট্রফি উন্মোচনে ছিলেন না ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

২০২২ সালের বিপিএলে কুমিল্লা-বরিশাল ফাইনাল ছিল। তাতে মাত্র ১ রানে হেরেছিল বরিশাল। বৃহস্পতিবার ট্রফি উন্মোচনে আরও একবার দুই দলের লড়াইয়ে উপভোগ্য ফাইনাল উপহার দেয়ার আশা রাখলেন মিরাজ।

বরিশালের প্রতিনিধি হয়ে আসা মিরাজ বলেছেন, “এর আগেও বরিশাল-কুমিল্লার খেলা হয়েছে (ফাইনাল), ১ রানে হেরেছে বরিশাল। আশা করি এবার আরও একটা ভালো ম্যাচ হবে, সবাই উপভোগ করবে।”

মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহর মতো বিপিএল শিরোপা না জেতার আক্ষেপ মিরাজেরও আছে। এবার কুমিল্লার বিপক্ষে জিতে সেই আক্ষেপ মেটাতে চান তিনি, “হ্যাঁ আমি কখনো ট্রফি জিতিনি বিপিএলে। যদি এবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, এটাই আমার জন্য প্রথম। এর আগে দুবার ফাইনাল খেলেছি, এটা নিয়ে তিনবার খেলব। ফাইনালে জিততে পারিনি, কিন্তু আশা করব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এবং সবাই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে।“

ট্রফি উন্মোচনে এসে সাবধানি ছিলেন জাকের। দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রশ্নে একটু ব্যাকফুটে খেলেছেন। বরং চাপ এড়িয়ে যেতে বরিশালকেই এগিয়ে রাখলেন জাকের।

বিপিএলে মোট চারবার এবং টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য জাকের জানালেন ফাইনালে খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন তারা, “ফাইনালে উঠলেই যে ট্রফি পেয়ে যাব এমন কিছু না ৷ দেখেন ফাইনালে পারফরম্যান্স করেই কুমিল্লা প্রত্যেক বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একটা জিনিস যে কুমিল্লা এসব বড় ম্যাচ খেলে অভ্যস্ত, কুমিল্লা ফাইনাল খেলে অভ্যস্ত। আমরা দল হিসেবে জানি কীভাবে এ ম্যাচগুলো বড় ম্যাচগুলো পারফরম্যান্স করতে হয়।”

গতবারের মতো এবারও শিরোপা জয়ী দল ২ কোটি টাকা পাচ্ছে। রানার্সআপ দল পাবে ১ কোটি। এছাড়া টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় পাবেন ১০ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ রান ও উইকেট সংগ্রাহক পাবেন ৫ লাখ হবে। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ও পাবেন একই পরিমাণ অর্থ পুরষ্কার। আর টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডার পাবেন ৩ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত