Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

ক্যান্সার ঝুঁকি : এবার তামিল নাড়ুতে নিষিদ্ধ হাওয়াই মিঠাই

Candy floss

হাওয়াই মিঠাই খেলে কি ক্যান্সার হয়? এমন প্রশ্ন শুনে অনেকেই, বিশেষ করে শিশুদের মা-বাবারা ঘাবড়ে যাবেন। কারণ ছুটির দিনে ঘুরতে বের হলে শিশুরা যেসব খাবার কিনে দিতে বায়না ধরে, তার একটি এই রঙ-বেরঙের মুখরোচক খাবার।

অনেক অভিভাবক হাওয়াই মিঠাইকে স্বাস্থ্যকর খাবার মনে না করলেও সন্তানদের আবদারের সামনে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন। অবশ্য কেবল শিশুরাই নয়, রাস্তায় বের হলে বড়দের হাতেও মাঝেমধ্যে এই মিঠাই দেখতে পাওয়া যায়। মুখে দেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই মিলিয়ে যায় এমন মিষ্টিজাতীয় খাবারকে না বলা যে প্রায় অসম্ভব!    

হাওয়াই মিঠাই জনপ্রিয় খাবার হলেও শুরুর প্রশ্নটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই, কারণ হঠাৎ করে এই খাবার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

লোভনীয় এই খাবারে মেশানো রঙের কারণে শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে বলে গবেষণায় নিশ্চিত হয়েছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা।

সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিল নাড়ুতে হাওয়াই মিঠাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন, মিষ্টিজাতীয় এ খাবারে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ রোডামিন-বি আছে।

এ খবর পাওয়ার পর তামিলনাড়ু সরকার গোলাপি রঙের হাওয়াই মিঠাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত সপ্তাহে তারা এ ঘোষণা দেয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।     

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুডুচেরিতেও হাওয়াই মিঠাই নিষিদ্ধ করা হয়। পুডুচেরি ও তামিলনাড়ুর দেখাদেখি অন্য রাজ্যগুলোও খাবারটির নমুনা পরীক্ষা করা শুরু করেছে।   

হাওয়াই মিঠাই দেখতে উষ্কখুষ্ক চুলের মতো বলে ভারতে এটিকে বুড়ি কা বালও (বয়স্ক নারীর চুল) বলা হয়।    

এটিকে ক্ষতিকর উল্লেখ করে তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা পি সতীশ কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “হাওয়াই মিঠাইয়ে মেশানো ক্ষতিকর পদার্থ ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। মানবদেহের সব অঙ্গ এর কারণে আক্রান্ত হতে পারে।”               

খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা সতীশের দল গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ের একটি সমুদ্র সৈকতে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাদের ওপর অভিযান চালায়।

তিনি জানান, স্বাধীন বিক্রেতারাই হাওয়াই মিঠাই তৈরি করেন। কোনও নিবন্ধিত কারখানায় এটি বানানো হয় না। কাপড়, কালি ও কসমেটিকস রঙ করার কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ খাবারটিতে দেওয়া হয়। এ কারণেই এর রঙ গোলাপি হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, ওই রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য খাবার রঙ করতে এই রাসায়নিকের ব্যবহার ইতিমধ্যে অবৈধ ঘোষণা করেছে।       

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত