Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

গান বাজনা আলাপে ছায়ানটের বর্ষবরণ

ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের আয়োজন সাজানো হয় প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের আয়োজন সাজানো হয় প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ আজ। নব আনন্দে জাগার আহ্বানে ঢাকার রমনার বটমূলে চিরায়িত আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হলো বাংলা নতুন বছর ১৪৩১। গান, বাজনা, আলাপে প্রত্যাশা করা হলো সুন্দর আগামীর। সমবেত কণ্ঠে এ যেন মানবের জয়গান।

রবিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের আয়োজন। সেই সুরে মন্ত্রমুগ্ধের মতো ডুবে ছিলেন অনুষ্ঠান দেখতে আসা নগরবাসী। ছিলেন নগরপিতাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরাও।

এবারের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয় নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। সেই সঙ্গে যোগ করা হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী সৃষ্টির বিজাতীয় অবমাননার প্রতিবাদ এবং লেখনীর দুর্দম শক্তিতে বাঙালির গণজাগরণে স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে চলা আবু বকর সিদ্দিককে স্মরণ।

আয়োজকরা জানান, বিশ্বব্যাপী বস্তুর প্রতি মানুষের আকর্ষণ যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে কমেছে মানুষের প্রতি মমত্ববোধ। যার ফলে ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবে এই সংকটে যেন মানুষ আশাহত না হয়, একে-অপরের পাশে থেকে, হাতে হাত রেখে চলার বার্তাই ছড়িয়ে দিতে এই নান্দনিক আয়োজন।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন শতাধিক ক্ষুদে ও বড় শিল্পী। দীর্ঘ আড়াই মাস অনুশীলন সেরে তারা রমনার বটমূলের মঞ্চে ওঠেন।

দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজেও এটি সরাসরি দেখানো হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত