Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

কখনও ফাইনালে হারেনি কুমিল্লা

এর আগে চারবার ফাইনাল খেলে চারবারই জিতেছে কুমিল্লা। এবার তারা খেলছে পঞ্চম ফাইনাল।
এর আগে চারবার ফাইনাল খেলে চারবারই জিতেছে কুমিল্লা। এবার তারা খেলছে পঞ্চম ফাইনাল।

নাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। নামের সঙ্গেই জড়িয়ে ‘ভিক্টোরি’ শব্দটা, তাই হয়ত কখনও বিপিএলের ফাইনালে হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়নি তাদের!

এ নিয়ে পঞ্চমবার ফাইনাল খেলছে কুমিল্লা। আগের চারবারের কোন প্রতিপক্ষ হারাতে পারেনি তাদের। আজ (শুক্রবার) কি পারবে ফরচুন বরিশাল? বরিশালের মুশফিকুর রহিম অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘আগে হারেনি বলে কখনও হারবে না এমন কথা নেই।’’

প্রথম দল হিসেবে ফরচুন বরিশাল তাদের হারাতে পারবে কিনা বলবে সময়। এর আগে দেখে নেওয়া যাক কুমিল্লার গত চারটি ফাইনালের পারফর্ম্যান্স।

২০১৫ (৩ উইকেটের জয়, বিপক্ষ বরিশাল বুলস)

ফরচুন বরিশালের নাম তখন ছিল বরিশাল বুলস। এবারের দলের মাহমুদউল্লাহ ছিলেন বরিশালের অধিনায়ক। ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে মাহমুদউল্লাহর ৩৬ বলে ৪৮-এ বরিশাল পায় ৪ উইকেটে ১৫৬ রানের পুঁজি।

এছাড়া শাহরিয়ার নাফিস ৪৪* ও সেগুকে প্রসন্ন করেছিলেন ৩৩ রান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ৪ ওভারে ২৮ রানে নেন ১ উইকেট।

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটা শেষ বলে কুমিল্লা জিতে ৩ উইকেটে। শেষ ৫ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। অলক কাপালির ২৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ঝড়ে শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে মাশরাফির দল।

২০১৯ (১৭ রানে জয়, বিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস)

ফরচুন বরিশালের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল তখন খেলতেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে। সেবার নেতৃত্বে ছিলেন ইমরুল কায়েস। শুরুতে ব্যাট করে কুমিল্লা গড়ে ৩ উইকেটে ১৯৯ রানের পাহাড়।

৬১ বলে ১০ বাউন্ডারি ১১ ছক্কায় তামিম ইকবাল খেলেন ১৪১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। আসলে এই ইনিংসটিই গড়ে দিয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য। ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ৪৫ রানে নেন ১ উইকেট।

জবাবে সাকিবের দল ভালো খেলেও থামে ৯ উইকেটে ১৮২ রানে। রনি তালুকদার ৩৮ বলে ৬৬ আর উপুল থাররাঙ্গা করেন ২৭ বলে ৪৮। ওয়াহাব রিয়াজ ২৮ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার তামিমের।

২০২২ (১ রানে জয়, বিপক্ষ ফরচুন বরিশাল)

বিপিএলের ইতিহাসের অন্যতম রোমাঞ্চকর ফাইনাল ছিল সেটা। ফরচুন বরিশালকে ১ রানে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

শুরুতে ব্যাট করে ইমরুল কায়েসের দল করেছিল ৯ উইকেটে ১৫১। সুনীল নারিন ২৩ বলে ৫৭ আর মঈন আলী করেন ৩২ বলে ৩৮। মুজিব-উর রহমান ও শফিকুল ইসলামের শিকার ১টি করে উইকেট।

জবাবে সাকিব আল হাসানের বরিশাল ৮ উইকেটে থামে ১৫০-এ। বিফলে যায় সৈকত আলীর ৩৪ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। তাওহিদ হৃদয় শেষ ওভারে ক্রিজে থাকলেও ৯ বলে অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে।

ব্যাটে ঝড় তোলা সুনীল নারিন ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে জিতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

২০২৩ (৭ উইকেটে জয়ী, বিপক্ষ সিলেট স্ট্রাইকার্স)

মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে গতবার ফেভারিটের মতই খেলছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফাইনালে তাদের থামিয়ে টানা দ্বিতীয় ও সবমিলিয়ে চতুর্থ শিরোপা জেতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

মুশফিকুর রহিমের ৭৪* ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৬৪-তে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের পুঁজি পায় সিলেট। মুস্তাফিজুর রহমান নেন ৩১ রানে ২ উইকেট।

জনসন চার্লস ও লিটন দাসের ফিফটিতে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় কুমিল্লার। ৩৯ বলে ৫৫ করেছিলেন লিটন। তবে ৫২ বলে বিস্ফোরক ৭৯* রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জনসন চার্লসের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত