বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
দেশটির ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বাংলাদেশে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বুধবার প্রথমবারের মতো করাচি সফরে যান শেহবাজ শরিফ। সেখানেই ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকের এক পর্যায়ে বাংলাদেশের ক্রমবিকাশমান অর্থনীতির প্রসঙ্গ তুলে ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এর কথা স্মরণ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক সময় এই অঞ্চলটি (বাংলাদেশ) দেশের ‘বোঝা’ হিসেবে বিবেচিত হলেও এখন শিল্পায়নে প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করেছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে তাকালে এখন রীতিমতো লজ্জা হয় জানিয়ে শেহবাজ বলেন, “আমার বয়স অনেক কম ছিল যখন… আমাদের বলা হত যে, এটি (পূর্ব পাকিস্তান) আমাদের উপর একটি বোঝা… আজ আপনারা সবাই জানেন যে সেই ‘বোঝা’টি কোথায় পৌঁছেছে [অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে]। এখন আমরা যখন তাদের দিকে তাকাই তখন লজ্জিত বোধ করি।”
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের আলাদা হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণই ছিল ভয়াবহ রকমের বৈষম্য। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা বাংলাদেশ এখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মতো অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সূচকেই পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে।
অন্যদিকে নানা সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান এখন ব্যস্ত তাদের ভঙ্গুর অর্থনীতি সামাল দিতে। গত মার্চে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শেহবাজ শরিফও সবাইকে নিয়ে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার কথাই বলে আসছেন।
বুধবার করাচিতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালেও পাকিস্তানের রপ্তানি আয় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান শেহবাজ।