বিপিএলের ফাইনাল ৬ বন্ধু এক সঙ্গে পাশাপাশি বসে দেখতে চেয়েছেন। সেই অনুসারে অনলাইনে টিকিটের আবেদন করেও শেষ মুহূর্তে ৫ জনের টিকিট কিনতে পারেন আলী পরাণ। বাকি এক বন্ধুর জন্য টিকিট যোগাড় করতে মাথা খারাপের মতো অবস্থা তার।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় আলী পরাণের সঙ্গে কথা হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সামনে। একজন ব্ল্যাকার ৮০০ টাকা দামের ক্লাব হাউজের ১টি টিকিট তার কাছে আড়াই হাজার টাকা চেয়েছেন বলে দাবি করলেন আলী পরাণ।
ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলছিলেন, “দালাল চক্রের মাধ্যমে আমি ১টা টিকিট কেনার চেষ্টা করি। কিন্তু একজন দালাল বলেন ২৫০০ টাকা হলে টিকিট দেওয়া যাবে। আরও কথা বললে সেটা বেড়ে ৩ হাজার হয়ে যাবে। এমন অবস্থা হলে আর খেলা দেখতে আসা হবে না আমাদের।”
মিরপুর স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে বিপিএলের ফাইনাল। শিরোপা জেতার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচ সামনে রেখে টিকিট নিয়ে কালোবাজারির প্রচুর অভিযোগ করলেন দর্শকেরা।
আলী পরাণের মতোই আরেক ভুক্তভোগী আদিল সরকার। কুমিল্লা থেকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছেন তিনি। ব্ল্যাকারদের কাছ থেকে টিকিট কেনার পর বলছিলেন, “আমি সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। মাত্র ১২০ টাকা পকেটে আছে। ৩০০ টাকার টিকিট আমাদের কিনতে হয়েছে ১৫০০ টাকা দিয়ে। আমরা বিসিবির কাছে কিছুই চাই না। টিকিট যেন ন্যায্য দামে বেচুক, এটাই চাওয়া।”
যাত্রাবাড়ী থেকে ফাইনাল দেখতে এসেছেন মোহাম্মদ হাসিব। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অল্প বেতনের চাকুরে হাসিবের সঙ্গে ব্ল্যাকার টিকিট বিক্রেতার যখন কথপোকথন হচ্ছিল, তখন পাশে দাঁড়িয়ে সে সব কথাবার্তা শুনছিলেন এই প্রতিবেদক। দুজনের মধ্যেকার সেই কথাগুলো নিচে হুবহু তুলে দেওয়া হলো।
হাসিব: ভাই আপনার কাছে টিকিট আছে?
টিকিট বিক্রেতা: ক্লাব হাউজের ৮০০ টাকার টিকিট আছে ২টি। ২৫০০ করে লাগবে প্রতিটি।
হাসিব: কিছু কম হবে ভাই?
টিকিট বিক্রেতা: সাড়ে ৪ হাজার রাখতে পারব। এর কমে দেওয়া সম্ভব না।
টিকিট কিনতে না পেরে হাসিব তাই হতাশার সুরে বলে উঠলেন, “আজ ব্ল্যাকারদের চাঁন রাত। এখানে আড়াই ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। এরা যে যেমন দামে পারছে তেমন দামে টিকিট বিক্রি করছে।”